চ্যালেঞ্জের মুখে অমিত শাহের ‘চাণক্য’ তকমা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৩৫
ফল প্রকাশের পরের দিনও দিল্লি বিধানসভার ভোটে পরাজয় নিয়ে নীরবই রইলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে মোদি ফিরিস্তি দিলেন গত আট মাসের কাজের। বললেন, দুনিয়ার সব থেকে যুব দেশে ‘টোয়েন্টি-টোয়েন্টি’ ম্যাচের গতিতে খেলছে সরকার। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা রহিত করা থেকে শুরু করে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির, এমনকি নাগরিকত্ব আইনের কাজও শেষ। তবে এ সব স্রেফ ‘নমুনা’। আসল কাজ শুরু এখান থেকেই। এমন অনেক ফয়সালা হবে, সেঞ্চুরি নয়, ডবল সেঞ্চুরি হবে।
কিন্তু এ দিনও দেখা গেল না অমিত শাহকে। তিনি আসেননি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও। তবে বৃহস্পতিবার সকালে বিমসটেক দেশগুলোর সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা তার। দিল্লিরই বিজ্ঞান ভবনে। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আশির মধ্যে সত্তরের বেশি আসন পাইয়ে দিয়ে মোদির থেকে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ শিরোপা পেয়েছিলেন শাহ। তার পর থেকেই তাকে বিজেপির ‘চাণক্য’ বলা হয়।
তবে সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে আম আদমি পার্টির কাছে বিশাল ব্যবধানে পরাজয়ের পর দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, শাহ কি এ বার তার ‘চাণক্য’ তকমা খোয়াবেন? এক নেতার দাবি,‘শুধু মেরুকরণে ভর করে প্রচার করা তো অমিত শাহের ভুল কৌশল ছিলই। তার উপর বুথ-ফেরত সব সমীক্ষা যখন আপ ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখনও সংশয়ে ছিলেন শাহ। প্রকাশ্যে আসেননি। ঘনিষ্ঠদেরও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি দল কত আসন পেতে চলেছে।’
এর মধ্যে ভেসে আসছে বিজেপির দলীয় অন্তর্কোন্দলের কথাও। পাঁচ বছর আগে এই দিল্লিতেই সঙ্ঘ ও বিজেপি কর্মীরা কাজ করেননি। এ বারেও কি তাই হল? দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে আম আদমি পার্টি পেয়েছে ৬২ আসন, আর বিজেপি মাত্র ৮টি আসন। অনেকে অবশ্য মনে করেন, অমিত শাহ এত সক্রিয় না-হলে বিজেপির ফল আরো শোচনীয় হত।
নির্মলা সীতারামন বুধবার বলেন,‘আমরা হারিনি। আপের পক্ষে জমি আগে থেকেই তৈরি ছিল।’ কিন্তু দলে প্রশ্ন, এটা আগাম জানা সত্ত্বেও শাহের কৌশল কেন কাজে এল না?
গত লোকসভায় ‘থ্রি নট থ্রি’ আসন আনলেও একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে। দিল্লির ভোট নিজের লড়াই হিসেবেই নিয়েছিলেন শাহ। বিজেপির একটি অংশ বলছে, উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের অস্ত্র কাজ করলেও দিল্লিতে তা ব্যর্থ হয়েছে। এখানে মুসলিমরা সংগঠিত হয়েছেন, কিন্তু হিন্দুরা হননি।
তা হলে কি ব্যর্থ হচ্ছে শাহের ‘মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট’? জমির সঙ্গে যোগ ছিন্ন হচ্ছে? প্রকাশ জাভড়েকর অবশ্য বলছেন,‘এর পর বিহার ও বাংলায় জিতলে কী বলবেন? মেরুকরণ নয়, উন্নয়নেই বেশি জোর ছিল প্রচারে। কিছু রাজ্যে হার হয়েছে, আমরা শিক্ষা নেব।’ সূত্র ; আনন্দবাজার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা