২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবাবিল দিয়ে ভারতের এস-৪০০ মোকাবিলা করবে পাকিস্তান

আবাবিল দিয়ে ভারতের এস-৪০০ মোকাবিলা করবে পাকিস্তান - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে বলে পাকিস্তান সতর্ক করে দিয়েছে। এরপরও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির কার্যকারিতাকে খাটো করে দেখছে ভারতের চিরশত্রু দেশটি। ইসলামাবাদ বলছে তার হাতে যে ক্ষেপনাস্ত্র রয়েছে তা দিয়ে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করা যাবে।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত বিভিন্ন উৎস থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স (বিএমডি) সিস্টেম কেনার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারই অংশ এস-৪০০ ক্ষেপনাস্ত্র চুক্তি। এতে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরুর পাশাপাশি এই অঞ্চলের কৌশলগত স্থিতিশীলতা নস্যাৎ হবে।

‘ত্রিয়াম্ফ’ ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত। পাকিস্তান ও রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার মোকাবেলায় ভারতের করা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি এটি। ২০২০ সালের মধ্যে মস্কো এই ক্ষেপনাস্ত্র সরবরাহ শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারত বহুদিন ধরেই বহুস্তরবিশিষ্ট ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এস-৪০০ চুক্তি ছাড়াও ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ইসরাইলের সঙ্গে বড় আকারের সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে। তাছাড়া দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে তারা।

তবে পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন যে পাকিস্তানের ক্ষেপনাস্ত্র থেকে ভারত নিজেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত করতে পারবে না। কারণ দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব খুবই কম। যুদ্ধের সময় ভারত যদিও দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলোকে রক্ষা করতে পারবে।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিরিট (এনসিএ) গত বছর আবাবিল ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নের কথা ঘোষণা করে, যার এমআইআরভি সক্ষমতা রয়েছে। এই ব্যবস্থা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে পারবে বলে বলা হচ্ছে। এমআইআরভি সামর্থ্য অজর্নকে ‘পাকিস্তানের সামর্থ্যের একটি অচলাবস্থা নিরসন’ হিসেবে বর্ণনা করে এনসিএ।

পাকিস্তান, রাশিয়া সামরিক মহড়া শুরু

পাকিস্তানের পাহাড়ি এলাকায় পাকিস্তান ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। রোববার এ মহড়া শুরু হয় এবং তা ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

রাশিয়ান সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের প্রেস সার্ভিসের প্রধান ভাদিম আস্তাফইয়েভ জানান, নওশেরা জেলার পাব্বি শহরের প্রশিক্ষণ রেঞ্জে এই ‘ফ্রেন্ডশিপ ২০১৮’ যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। রাশিয়ার সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ৭০ জনেরও বেশি সেনা এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

দুই বাহিনীর সদস্যরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় বিভিন্ন মহড়ায় অংশ নেবে বলে জানান আস্তাফইয়েভ।

২০১৬ সাল থেকে মৈত্রী মহড়া চালিয়ে আসছে রাশিয়া ও পাকিস্তান। ২০১৭ সালে ২০০ জনেরও বেশি সেনা এই মহড়ায় অংশ নেয়। নর্থ ককেশাসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৩০০ মিটার উচ্চতায় ওই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

আগস্টে, পাকিস্তান ও রাশিয়া ঐতিহাসিক চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা রাশিয়াতে প্রশিক্ষণ নেবে। রাওয়ালপিন্ডিতে যৌথ মিলিটারি কনসাল্টেটিভ কমিটির বৈঠকের শেষে যৌথ এই মহড়ার সিদ্ধান্ত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement