২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মন্দ ঋণ অবলোপন : শেয়ারহোল্ডারেরা মুনাফাবঞ্চিত

মন্দ ঋণ অবলোপন : শেয়ারহোল্ডারেরা মুনাফাবঞ্চিত - ছবি : সংগ্রহ

ব্যাংকের মূল কাজ ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে তা আবার ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ঋণ হিসেবে দেয়া। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক যখন একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত সংগ্রহ করে তখন তাকে যে হারে সুদ দেয়া হয়, ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতার সুদের হার তা থেকে উচ্চতর হয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আমানতের সুদ এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে, এ পার্থক্য থেকেই ব্যাংকের লাভ নির্ধারিত হয়। এ লাভ দিয়েই ব্যাংক তার পরিচালন ব্যয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা নির্বাহ করে থাকে। তা ছাড়া, ব্যাংকের লাভের ওপর সরকারকে নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হয়। উপরোল্লিখিত সাকুল্য ব্যয় নির্বাহের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তা হলো ব্যাংকের খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত লাভ বা নিট মুনাফা।

বর্তমানে এক দেশ থেকে অপর দেশে পণ্য আমদানি-রফতানি ব্যাংকে ঋণপত্র খোলার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। প্রতিটি পণ্য আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে বর্তমানে বীমা করার বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বীমার কাজটিও ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এক দেশ থেকে আরেক দেশে আইনসম্মত প্রক্রিয়ায় যে অর্থ হস্তান্তর করা হয়, তাও ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থ লেনদেন করা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উপযোগ বিলগুলো (টঃরষরঃু নরষষ) এখন ব্যাংকের মাধ্যমে হয় এবং এর বিনিময়ে ব্যাংক নির্ধারিত হারে কমিশন পেয়ে থাকে। কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর যখন জনসাধারণের কাছে বিক্রয়ের জন্য শেয়ার অবমুক্ত করে তখন তার জন্য জনসাধারণের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়, সেগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে এবং এ ক্ষেত্রেও ব্যাংক নির্ধারিত হারে কমিশন পেয়ে থাকে। এসব খাত থেকে ব্যাংক যে আয় করে, এটি ব্যাংকের অতিরিক্ত আয় এবং খরচ বাদ দিয়ে এ অতিরিক্ত আয়ও ব্যাংকের লাভের সাথে যুক্ত হয়।

আমাদের দেশের বেসরকারি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে এবং ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে ধস-পূর্ববর্তী অনেক ব্যাংক শেয়ার কেনাবেচা করে যে অর্থ আয় করেছিল তা তার অপর সব খাতের আয় থেকে অধিক ছিল। এখনো বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে, তবে বর্তমানে তা সহযোগী কোম্পানির মাধ্যমে সমাধা করা হয়।

আমাদের দেশে বর্তমানে তিন ধরনের ব্যাংক রয়েছে : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ও বিদেশী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে রূপালী ব্যাংক ছাড়া অপর কোনো ব্যাংক পুঁজিবাজারের সাথে তালিকাভুক্ত নয়, যদিও দু-একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত। বেসরকারি ব্যাংকের বেশির ভাগই পুঁজিবাজারের সাথে তালিকাভুক্ত এবং এসব ব্যাংকের শেয়ারের একটি বড় অংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। আমাদের দেশে যেসব বিদেশী ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এর কোনোটিই পুঁজিবাজারের সাথে তালিকাভুক্ত হয়নি এবং জনসাধারণের কেনার জন্য কোনো শেয়ারও অবমুক্ত করেনি।

ব্যাংকে অর্থ রাখা নিরাপদ- এ কথা ভেবে বর্তমানে শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সবাই সঞ্চিত অর্থ ব্যাংকে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অতীতে যদিও কখনো কোনো আমানতকারীকে ব্যাংকে রাখা আমানত নিয়ে কোনো ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি, কিন্তু বর্তমানে ব্যাংকের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কারণে অনেক আমানতকারীকে আমানত খোয়ানোর মতো পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকে উভয়েরই পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকেরা সরকারের নিয়োজিত। অপর দিকে বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকেরা উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডারদের ভোটে নির্বাচিত হন, যদিও এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যেসব ঋণ দিয়ে থাকে, তা একটু বড় অঙ্কের হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া কার্যকর করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকেরা যখন যে দল সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, সে দলের আশীর্বাদপুষ্ট লোক হয়ে থাকেন এবং সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ঘটেছে।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে একাধিক পরিচালক থাকলেও দলীয় সরকার ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় অনুমোদিত বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে যিনি নেতৃস্থানীয়, তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাই অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।

ব্যাংক যখন ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কোনো ঋণ দেয়, তখন সে ঋণের বিপরীতে ঋণগ্রহীতাকে ব্যাংকের কাছে উপযুক্ত জামানত বন্ধক রাখতে হয়। সাধারণত বন্ধক সম্পদের মূল্য গৃহীত ঋণের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু সময়মতো ঋণের কিস্তির টাকা বা ঋণ পরিশোধ না করার কারণে অনেক ঋণের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঋণের পরিমাণ সুদে আসলে ব্যাংকের নিকট বন্ধক সম্পত্তির মূল্যকে ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাংকের একটি ঋণ যখন খেলাপি হয় তখন এটিকে মন্দ বা কুঋণ বলা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের এমন অনেক মন্দ বা কুঋণ রয়েছে, যা কখনো আদায় করা সম্ভব হয় না। আদায়-অযোগ্য এসব ঋণের দুর্নাম আড়াল করতে ব্যাংকগুলো ব্যাপকভাবে অবলোপন (Right off) করছে। ফলে প্রতি বছরই মন্দ ঋণ অবলোপনের পরিমাণ বাড়ছে। ব্যাংকের লাভ বা মুনাফা থেকে শেয়ার মালিকদের বঞ্চিত করে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হচ্ছে মন্দ ঋণের বিপরীতে। এর পরই ঋণ অবলোপন অর্থাৎ ব্যাংকের মূল হিসাব থেকে আলাদা করা হচ্ছে।

আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বপ্রথম ২০০২ সালে মন্দ বা কুঋণ নীতিমালা প্রণয়ন করে। এ সময় যে ঋণ কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে মন্দ হিসেবে চিহ্নিত, কেবল ওইসব ঋণ অবলোপন করার কথা বলা হয়। তবে এ ব্যাপারে শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা ছিল, অবলোপনের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হবে এবং ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। এর কিছুকাল পর দেখা গেল নীতিমালাটি শিথিল করে উপরোল্লিখিত দু’টি শর্ত বাস্তবায়ন সাপেক্ষে দুই বছরের মন্দ ঋণও অবলোপন করার সুযোগ দেয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিনিয়ত মুনাফা থেকে প্রভিশন রেখে মন্দ ঋণ অবলোপনের পথে এগিয়ে চলেছে। এতে করে যে ব্যাংকের লাভ বা মুনাফা অবলোপন খেয়ে ফেলে শেয়ার মালিকদের বঞ্চিত হচ্ছে; সেদিকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

২০০৯ সালের শেষ দিকে শেয়ারবাজার ধস-পূর্ববর্তী বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের শেয়ারকে সবচেয়ে নিরাপদ গণ্য করা হতো এবং তখন পুুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি ব্যাংকই শেয়ারহোল্ডারদের যথোপযুক্ত লভ্যাংশ দিত। এ সময় বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দর অভিহিত মূল্যের ন্যূনপক্ষে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ গুণ পর্যন্ত অধিক ছিল। ধস-পরবর্তী দেখা গেল ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার হার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে এবং এর প্রভাবে শেয়ারের দামও নিম্নমুখী হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংকের শেয়ারের দাম নিম্নমুখী হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, দু-একটি ব্যাংকের শেয়ারের দর অভিহিত মূল্যের নিচে চলে গেছে। যেসব ব্যাংকের শেয়ারের দর অভিহিত মূল্যের ঊর্ধ্বে রয়েছে তাকে কোনোভাবেই মূল্য আয় আনুপাতিক হারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলা সঙ্গত হবে না। ব্যাংকের শেয়ারের দর নিম্নমুখী হওয়ার কারণে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী আজ পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের যেমন মাথাব্যথা নেই, তেমনি সরকারেরও মাথাব্যথা নেই।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাংক তথা আর্থিক খাতে চারটি বড় ধরনের জালিয়াতি ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। এগুলো হলো হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারি। এসব কেলেঙ্কারির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ টাকা ব্যাংকের শেয়ার মালিকদের ও ব্যাংকে আমানত হিসেবে গচ্ছিত সাধারণ জনগণের টাকা। এসব আত্মসাতের ঘটনার সাথে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলেও তারা ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, এ কারণে আত্মসাৎ সংক্রান্ত তদন্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এসব বিষয়ে যেসব মামলা হয়েছে তাতে দেখা যায়, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসামি করে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের মামলা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এভাবে পক্ষপাতদুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে মামলা পরিচালিত হলে তা আশানুরূপ ফল দেবে না এবং এতে করে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে।

আমাদের দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত যেন সুষ্ঠুভাবে চলে, তা দেখভালের দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। কিন্তু আলোচ্য চারটি দুর্নীতির ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষত অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পদধারীদের যে আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাতে দেশের সাধারণ জনগণের দুঃখ প্রকাশ করে ব্যথিত হওয়া ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমত, ব্যাংকগুলোতে খেলাপি হিসেবে বিবেচিত এমন কোনো ঋণ মন্দ হিসেবে চিহ্নিত হলে ধরে নেয়া হয় ওই ঋণ আর আদায় হবে না। এর বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয় এবং তখন এ ঋণ ব্যাংকের নিয়মিত হিসাবে প্রদর্শন করা হয়। আর যখন এ ঋণটিকে অবলোপন করা হয় তখন আর এটি ব্যাংকের নিয়মিত হিসাবে প্রদর্শিত হয় না। এটি চলে যায় আলাদা একটি হিসাবে। এর বিপরীতেও শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। এ কারণে ব্যাংকগুলো মন্দ ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রেখে তা অবলোপন করে ফেলে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এ খেলাপি ঋণের প্রায় ৮০ শতাংশ মন্দ ঋণ। এ মন্দ ঋণের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যে অবলোপন করা হয়েছে। এ অবলোপনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাংকের সাধারণ শেয়ার মালিক।

ব্যাংকগুলো তাদের নিজেদের অদক্ষতা ও দুর্নীতি অবজ্ঞা ও উপেক্ষাপূর্বক অন্যায়ভাবে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়া থেকে বঞ্চিত করে সে অর্থ প্রভিশন হিসেবে রেখে অবলোপনের পথে অগ্রসর হয়ে তাদের আর্থিক ভিত দুর্বল নয়, এটি দেখানোর প্রয়াস নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- এ ছলচাতুরী ও লুকোচুরি কার স্বার্থে? ব্যাংকের প্রত্যেক শেয়ার মালিকেরাই ব্যাংকের মালিক। আজ সাধারণ জনগণের অংশ নিরীহ শেয়ারহোল্ডারদের বঞ্চিত করে যারা সুখের নীড় গড়ে তুলেছেন, তাদের সে সুখের নীড় যে চিরস্থায়ী হবে না, এ কথা ভেবে ব্যাংক ব্যবস্থার সার্বিক বিপর্যয়ের সাথে যারা জড়িত তারা যদি নিজেদের শোধরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হন, তাহলে তাদের পাপের কিছুটা হলেও মার্জনা হবে। কিন্তু এর পরও প্রশ্ন থাকে যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের হানি ঘটানো হলো, তাদের জন্য কি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই?

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত

সকল