২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আমেরিকার বৃহত্তম কন্স্যুলেট কুর্দিস্তানে কেন?

মাসুদ বারজানি - ছবি : সংগৃহীত

ইরাকে কুর্দিদের আঞ্চলিক সরকার কেআরজি নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র কেআরজির সাথে সমঝোতা করে ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে কন্স্যুলেট তৈরি করছে। বিশ্বে এ পরাশক্তির বৃহত্তম কন্স্যুলেট ২০ একর জায়গার ওপর ইরবিল-পিরমান রোডের ধারে। কৌশলগত দিক দিয়ে চমৎকার অবস্থান। আগামী তিন-চার বছরে এ বিশাল কন্স্যুলেটের নির্মাণকাজ শেষ করে আসল কাজ শুরু করা হবে। কন্স্যুলেট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার। নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য এক হাজার আমেরিকান ও সমপরিমাণ ইরাকি দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরবিলে কূটনৈতিক মিশন খুলেছিল। এর চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে আর পতন হয় সাদ্দাম সরকারের এবং পরে সাদ্দামকে ক্যামেরা ট্রায়াল করে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তা কার্যকর করা হয়। এর পরপরই পুরো ইরাক আমেরিকান সেনায় ভরে যায়, আর তাদের কথামতোই ইরাকি সরকার চলতে থাকে। একই সাথে খুন-খারাবি দেশটির নিত্যসঙ্গীতে পরিণত হয়। ২০১১ সালে কুর্দিস্তানের সাথে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এবং সম্পর্ক দৃঢ়তর হয় এবং ইরবিলের সেই কূটনৈতিক মিশন কন্স্যুলেট পরিণত হলো। এখন সেখানেই বিশ্বের বৃহত্তম মার্কিন কন্স্যুলেট তৈরি করা হচ্ছে।

এক বিশেষ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে এ কন্স্যুলেট তৈরি করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইরাক সবেমাত্র আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করে নিঃশ্বাস ফেলছে এবং সরকার গঠন করেছে। এ সরকার আমেরিকার মনঃপুত না হলেও আমেরিকা চেয়েছে এরা দেশ পরিচালনা করুক। যদি তাই হয়, এত বড় কন্স্যুলেট তৈরি করার হেতু কি? কিরকুকের বিরাট তেলের রিজার্ভ এখন ইরাকিদের হাতে; কুর্দি অঞ্চলেও রয়েছে অনেক তেলের মজুদ। এখান থেকে কুর্দিরা পাশের তুরস্কে তেল রফতানি করত। ইরাক এবং এর কুর্দি অঞ্চল যেন তেলের সাগরে ভাসছে। অদূর ভবিষ্যতে কারা ভোগ করবে এ সম্পদ? কুর্দি-ইরাকিরা, না কি পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্র?

যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার ও কুর্দিস্তানের ইরবিলের প্রশাসনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে, যাতে রেষারেষির রশির লাগাম আমেরিকার হাতেই থাকে। তা ছাড়া, কুর্দি ও ইরাকিদের মধ্যে বহু দল-উপদল আছে। শিয়া সুন্নিদের মধ্যেও রয়েছে অনেক উপদল। এরা সবসময় অবস্থান বদল করে। এ কারণে গোষ্ঠীগত সঙ্ঘাত লেগেই আছে। বিষয়টিকে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে মার্কিনিরা। অর্থের বিনিময়ে এবং চাপে ব্যক্তিগতভাবে অনেকে ও ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলো মার্কিন গোয়েন্দাদের সহায়তা করতে বাধ্য হচ্ছে। বড় গোষ্ঠীর মধ্য রয়েছে সিরন ও ফাতাহ মোর্চা। প্রথমটির নেতৃত্ব দেন মোক্তাদা আল সদর, অন্যটির হাফি আল আমিরি। উভয়ে ইরাকি ভূমিতে আমেরিকার সৈন্যদের উপস্থিতির বিরোধী। আমেরিকার জন্য বিষয়টি মাথা ব্যথার কারণ। মোক্তাদা আল সদর ইরাকের সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিরাট জনসমর্থন পেয়েছেন।

স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতা প্রদানের ইস্যু কুর্দিদের জন্য একটা ‘হট কেক’। এটি বড় এক আঞ্চলিক ও ভূ-রাজনৈতিক ইস্যু। ওয়াশিংটনে বসে নির্দেশনা দিয়ে এমন হট কেক নাড়াচাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কষ্টসাধ্য, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবাস্তব। অনেক বিষয় আছে সামনা সামনি বোঝা-পড়ার। নানা উপদলে বিভক্ত নেতাদের সাথে মুখোমুখি বসা, উপঢৌকন দেয়া, ভাতা প্রদান, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, চাকরি, ছেলেমেয়েদের বৃত্তি, স্থানীয় ফার্মে নিয়োগ- এসব বিষয় পরিচালনার জন্য ওখানেই অফিস দরকার, বড় আয়োজন প্রয়োজন। অভিযোগ আছে, আমেরিকা এসব বিভিন্ন বিষয় ও সমস্যা সৃষ্টি করে, যাতে লোকজন স্বেচ্ছায় সহায়তা পেতে তাদের কাছে আসে। ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুতে ইরাক ওয়াশিংটনের একটা স্থায়ী টার্গেট। বিশেষ করে ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন একটি সুবিধাজনক জায়গা দরকার। মার্কিনিরা মনে করে, ইরবিল ও ইরাকের মধ্যে যতই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে, ততই বাগদাদ ওয়াশিংটনের দরবারে ধরনা দিতে বাধ্য হবে।

কুর্দিস্তানে ২০ একর জায়গাজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্স্যুলেট নির্মাণ নিয়ে বিশ্বের কূটনীতিকদের মধ্যে বিরাট প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কূটনৈতিক কাজের জন্য এত বিশাল কন্স্যুলেটের কেন দরকার? যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে যেন এ স্থাপনাকে গোয়েন্দা, অপারেটর ও এজেন্টেদের কাজের মিলন ভূমিতে পরিণত করতে পারে, তেমন একটি উদ্দেশ্য রয়েছে বলে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে। জানা গেছে, অদূর ভবিষ্যতে আমেরিকা ওই এলাকায় ‘স্পাই নেস্ট’ সৃষ্টি করতে চায়, এর জন্য অনেক আয়োজন দরকার। ফিল্ড অপারেটরদের সবসময়ই কাছাকাছি কোনো নিরাপদ স্থানের প্রয়োজন। গোয়েন্দারা সেখানে নিরাপদে আশ্রয় নেয় বা লুকিয়ে থাকে।

কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানির রাজনৈতিক পতন থেকে কুর্দিরা সম্ভবত কিছুই শিখেনি। ওই অঞ্চলে আমেরিকার কি কি স্বার্থ রয়েছে বা থাকতে পারে, তা বিশ্লেষণ না করে কাজ করলে কুর্দিদের আরো মূল্য দিতে হবে। রাজনৈতিক পণ্ডিতেরা মনে করছেন, কুর্দিদের উচিত আগের মতো পড়শিদের সাথে এক হয়ে থাকা, ইরাকি কুর্দিস্তানকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে টিকিয়ে রাখা। পশ্চিমাদের খপ্পরে পড়ার পর এখন সেটিও গেছে। এখন ইরবিলসহ ইরাকি কুর্দিস্তানের তেলকূপগুলো কুর্দিদের বদলে নিয়ন্ত্রণ করছে ইরাক সরকার। তুরস্ক কুর্দিদের বাদ দিয়ে ইরাকের সাথে চুক্তি করে কুর্দিস্তানের তেল সংগ্রহ করছে! এদিকে, আমেরিকার জন্য তুরস্ক সবসময় একটি সমস্যা। কোনোমতেই যেন বাগে আনতে পারছে না! তুরস্ককে ‘শায়েস্তা’ করতেও শক্ত ঘাঁটি দরকার। তাই কাছাকাছি কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক স্পাই নেস্ট থাকা চাই। তারপর চতুর্থ-পঞ্চম ডিগ্রির স্পাইদের প্রশিক্ষণ, কভারেজ, পরিবারের দেখভাল ইত্যাদি করতে হলে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রয়োজন। ইরাক, ইরান ও তুরস্ক যেকোনো সময় যেকোনো বিষয় নিয়ে বেঁকে বসতে পারে; তাও যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবেই জানে।

ইরবিল এমন একটি স্থান যে, আঞ্চলিক যেকোনো সঙ্ঘাত শুরু হলে তার প্রতিফলন এই নগরে পড়ে এবং তা আঞ্চলিক সমস্যাকে জটিলতর করে তোলে। কুর্দি-অধ্যুষিত ইরবিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, নৃতাত্ত্বিক সব গোষ্ঠীর সমাবেশ এখানে। তাই স্থানীয় রাজনীতিতে ইরবিল অনেক অগ্রসর। ইতঃপূর্বে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে সব পক্ষের প্রিয় নেতা মাসুদ বারজানির, বলতে গেলে, রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে গেছে। আমেরিকার সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনের সময় কুর্দিদের তা দেয়নি। বরং চূড়ান্ত প্রয়োজনের সময় এগিয়ে এসেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল, অস্ত্র ও নগদ অর্থ দিয়ে। ফুটবল খেলায় ফরওয়ার্ড খেলোয়াড় গোল বারের কাছে যেমন অন্য খেলোয়াড়কে পাস দেয়, তেমন ব্যাপার এটা। তুরস্ক ও ইরাক, ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে কুর্দিদের সরিয়ে দেয় এবং ইরাক তেল ক্ষেত্রের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। ওই ‘খেলা’ শেষ হওয়ার পর নতুন করে ইরবিল নিয়ে ইরাক প্রস্তুত। নাট্যমঞ্চে ইরবিল ছোট এক নায়ক। এখন সব পক্ষই সুবিধা নিতে উন্মুখ। গত ৮০ বছর ধরে যখনই কুর্দিরা স্বাধীনতার কথা বলেছে, তখনই তা নস্যাৎ করা হয়েছে। কুর্দিদের স্বার্থ নিয়ে কেউ আন্তরিকভাবে ভাবেনি।

নির্বাচনের এতদিন পর, বাগদাদ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। ইরানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার পর মার্কিন সরকারের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের দায়ে মার্কিন সরকারকে অভিযুক্ত করেছে বাগদাদ। মার্কিন দূতাবাস বলেছিল, ইরানকে যদি আসন্ন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত থাকতে হয়, তাহলে তাকে ইরাকে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে তৎপর ‘হাশদ আশ-শাবি’ বাহিনী বা পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিবেশী দেশ ইরানের সাথে বাগদাদ কিভাবে সম্পর্ক রক্ষা করবে, তা আমেরিকা নির্ধারণ করে দিতে পারে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরাক তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেকোনো হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করবে। বিশেষ করে, ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ড যা প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারের নির্দেশে পরিচালিত হয়- সে ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ বাগদাদ সহ্য করবে না।’

সম্প্রতি বাগদাদস্থ মার্কিন দূতাবাস দাবি করেছিল, ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে ইরান।
২০১৬ সালের অক্টোবরে বলতে গেলে, তুরস্ক ইরাকের অখণ্ডতা ও স্থায়িত্বের দায়িত্ব নেয়। তখন ইরাকি পার্লামেন্ট ইরাকে তুরস্কের সেনা অবস্থানকে ‘দখলদার বাহিনী’ হিসেবে অভিষিক্ত করেছিল। তারই জবাবে তুরস্ক এ ঘোষণা দিয়েছে। তুরস্ক জানায়, তাদের সেনারা ইরাকে আইএস বা দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তখন বিশ্বের বিভিন্ন ৬০টি দেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। সুতরাং শুধু তুরস্ককে দখলদার বলা অযৌক্তিক। মসুলে তখন লড়াই চলছিল এবং তুর্কি সৈন্যরা বাসিকা ক্যাম্পে লড়াই করছিল। এ স্থানটি দায়েশের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের কার্যক্রমে ভেতরে ভেতরে অসন্তুষ্ট। কিন্তু তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য বলে তাকে বাধা দেয়ার কোনো পথ ছিল না। এরপর ওই অঞ্চলে আমেরিকা সামরিক কর্তৃত্ব বাড়ানোর জন্য বড় ধরনের প্রচেষ্টা চালায়, তারই ফল নতুন কন্স্যুলেট।

তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দিস্তান মিলিয়ে কুর্দি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা তিন কোটির কাছাকাছি। আর্মেনিয়ায় সীমান্ত এলাকায়ও রয়েছে বহু কুর্দি। পার্বত্য এলাকায় কুর্দিরা বসবাস করছে। তাদের স্থায়ী কোনো রাষ্ট্র নেই। সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন যুদ্ধে কুর্দিরা সাহস ও সুনাম কুড়িয়েছে। বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ওরা। ভাষা, সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও বংশ-পরম্পরায় কুর্দিরা ভিন্ন জাতিসত্তার। কুর্দিদের মধ্যে ধর্মীয় কিছু মতপার্থক্য থাকলেও তারা সুন্নি মুসলমান। তেল বিক্রির অর্থ হচ্ছে কুর্দিস্তান সরকারের অর্থনীতির বড় শক্তি। কেইহান পাইপলাইন দিয়ে কুর্দিস্তান থেকে প্রতিদিন তুরস্কে সাড়ে ছয় লাখ ব্যারেল তেল রফতানি করা হতো। ইসরাইলের আমদানিকৃত তেলের ৭০ শতাংশই কুর্দি অঞ্চল থেকে আসে।

কুর্দি রিজিওনাল গভর্মেন্ট বা কেআরজি নেতা মাসুদ বারজানি বলেছিলেন, গণভোটে কুর্দিরা স্বাধীনতার পক্ষে ৯২ শতাংশ ভোট দিয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু প্রয়োজনের সময় ব্রিটেন, আমেরিকা ও জাতিসঙ্ঘ শুধু পিছিয়েই গেল না, তারা প্রকাশ্যে বারজানিকে অসহযোগিতা করেছে। ইরাক, ইরান, সিরিয়া ও তুরস্ক গণভোটের ফলাফল ‘বাতিল’ করার আহ্বান জানালেও কুর্দিস্তান সরকার তা শুধু ‘স্থগিত’ করেছে। প্রচণ্ড চাপ আসায় ২৯ অক্টোবর ২০১৭ বারজানি পদত্যাগ করে নিজে কোনো মতে রক্ষা পেয়েছেন। ইতঃপূর্বে তুরস্ক বারজানির প্রশাসনের খরচ মেটানোর জন্য দুই বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল; আর এখন এগিয়ে এসেছে আমেরিকা। তুর্কি কোম্পানিগুলো বারজানির প্রশাসনের কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার পাবে। আঙ্কারা তেল আমদানির জন্য ইরবিলের পরিবর্তে বাগদাদের সাথেই আলোচনায় বসেছে। গণভোট-পরবর্তী ওই অসহায় মুহূর্তে আমেরিকা চুপ থেকে এখন কন্স্যুলেট প্রজেক্ট নিয়ে এগোচ্ছে। এখন কুর্দি নেতৃত্ব এক ধরনের এতিম। কুর্দিদের এখন বহু নেতা এবং বহু দিক-নির্দেশনা। এ রকম এক উর্বর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন কন্স্যুলেটের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রায় তিন কোটি কুর্দিকে আমেরিকা হাত করতে পারলে বিশাল এক সৈন্যবাহিনী গড়তে পারবে বলে আশাবাদী। ওই অঞ্চলে কোনো সামরিক অভিযানের জন্য ওয়াশিংটনকে তখন আর ন্যাটো জোটের সহায়তার জন্য চেয়ে থাকতে হবে না।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
ভিজিএফবঞ্চিতদের মানববন্ধনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা, আটক ২ ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে : আর্টিকেল নাইনটিন ও টিআইবি পিনাকীসহ দু'জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ সিরাজদিখানে প্রচণ্ড গরমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ মানিকগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে গুলিবর্ষণ বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন পাচ্ছেন ৫ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান বিরোধী দল নিধনে এখনো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দেবে যুক্তরাষ্ট্র আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার : আইনমন্ত্রী টিউবওয়েলের পানি খেয়ে আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ নারী আম্পায়ার নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আসলে কী ঘটেছিল?

সকল