রাচিতেও মঞ্চন্থ হচ্ছে একই চিত্রনাট্য। একচ্ছত্র দাপট ভারতের। বল-ব্যাটে দলটির একতরফা আধিপত্যের অসহায় দর্শক দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ম্যাচ অবশিষ্ট থাকতেই নিশ্চিত হয়েছে তাদের সিরিজের হার। হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়ানোর সমাপ্তি টেস্টের দ্বিতীয়দিনেই ব্যাকফুটে পা পড়েছে সফরকারিদের। মাত্র চার সেশনের খেলা শেষে রাচি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হাতের মুঠোয় নিয়েছে ভারত।
ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মার টেস্ট ক্যারিয়ারের বিস্ময়কর সাফল্যের ‘লাভস্টোরি’ গল্প অটুট থাকার তৃতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত শুরুর উচ্ছ্বাস স্বাগতিক বোলিং ইউনিটের। আলো স্বল্পতার কারণে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো নির্ধারিত সময়ের আগে সমাপ্ত খেলায় ৫ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত সামি ও যাদবের। গতকাল চা-বিরতির পর তাদের দুইজনের ১১ বলের বিধ্বংসী এক স্পেল খাদের কিরানা পৌঁছে দেয় আফ্রিকানদের। ২ উইকেট হারিয়ে ৯ রানে ড্রেসিংরুমে ফিরেছে সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে তারা এখানো পিছিয়ে ৪৮৮ রানে। হাতে অবশিষ্ট ৮ উইকেট। ব্যক্তিগত ১ রানে নটআউট প্ল্যাসিস।
ওপেনার হিসেবে রোহিতের টেস্ট ক্যারিয়ারের সূচনা রীতিমতো রূপগল্পকেও হার মানাবে। ৩ ম্যাচের ট্রফির রেসে তার চার ইনিংসের ব্যাটিং ওলট-পালট পাঁচ দিনের ফরম্যাটের বহু-পুরনো ইতিহাস। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল উৎসবের প্রক্রিয়ায় টপকে গেছেন স্যার ডোন্যাল্ড ব্রাডম্যানের কৃর্তিত্বকে। হোম ভেনুতে ১০ বা ততধিক ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তির সর্বকালের সর্বোচ্চ গড় ৯৮ দশমিক ২২ রানের রেকর্ড পেছনে ফেলে শিখরে আরোহণ করেছেন রোহিত। রাচি টেস্টের অনবদ্য ২১২ রানের ইনিংসের সুবাদে তার শেষ ১২ টেস্টের গড় উন্নীত হয়েছে ৯৯ দশমিক ২২-এ। রোহিত সর্বমোট ১২৯৮ রান করেছেন শেষ ১৮ ইনিংসে। ওপেনার হিসেবে তার বিস্ময়কর সাফল্য নিশ্চিত করেছে প্রথম ভারতীয় হিসেবে চার বা তার চেয়ে কম ইনিংস খেলে ৫০০ প্ল্যাস রান করার মাইলফলক রচনার কৃতিত্ব। একটি টেস্ট সিরিজে রোহিতের সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ডও বেড়ে পৌঁছেছে ১৯টিতে। ২৫৫ বলে ২১২ রানের আত্রমণাত্মক ইনিংসটি ২৮ বাউন্ডারি ও ছয়টি ছক্কা দিয়ে সাজান ভারতের ওপেনার। তার ডাবলের পাশাপাশি রাহানের সেঞ্চুরির সুবাদে সিরিজের শেষ টেস্টেও উড়ন্তু সূচনার উল্লাস ভারতের। ৯ উইকেটে ৪৯৭ রানে দলটি ডিক্লেয়ায় দেয় প্রথম ইনিংস। ২০১৬ সালের পর হোম ভেনুতে প্রথম টেস্ট শতকের ইনিংসে ১১৫ রান করেন রাহানে। ১ ছক্কা ও ১৭ বাউন্ডারি হাঁকান ১৯২ বল মোকাবেলায়।
সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পর বোলিংয়েও ভারতীয়দের দারুণ সূচনা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় আফ্রিকানদের। বিশাখাপত্তমে বিপর্যস্ত শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার রেসে কিছুটা দৃঢ়তা দেখাতে সক্ষম হয়। তবে পুনেতে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রদর্শনের চ্যালেঞ্জে ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ ‘এক্স ফ্যাক্টর’ রাখে ফলোঅনের দুঃস্বপ্ন হজমের পর দলটির ইনিংস ব্যবধানের হারের লজ্জায়। প্রথম দুই টেস্টের ওই একই চিত্রনাট্য রাচিতেও পুনরাবৃত্তির ফাঁদে এক পা রেখেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা!
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা