সামনে জাতীয় বাজেট। বিওএর দেয়া এসএ গেমসের প্রস্তুতির টাকা কবে পাওয়া যাবে এবং কবে তারা অনুশীলন শুরু করবে সেটির কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। তবে গতকাল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব উদ্বোধন করার পর অর্থপ্রাপ্তির আশ্বাসই দিলেন। তার কথায়, ‘এসএ গেমস নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। সেটা কেটে গেছে। আগামী ১-১০ ডিসেম্বর ইনশা আল্লাহ গেমস হবে। বিওএ ইতোমধ্যে ট্রেনিং ও অংশগ্রহণের জন্য ৩৯ কোটি টাকার একটা বাজেট দিয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আমরা এটা পাবো। বিওএ কাজ শুরু করতে পারে। কারণ টাকা অবশ্যই পাবে।’
১৩তম এসএ গেমসের লোগো ও মাসকট উন্মোচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেছে। ১-১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় হবে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক হিসেবে পরিচিত এই গেমস। বাকি ৬ মাসের মতো। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি এই গেমসের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) থেকে সরকারের কাছে ৩৯ কোটি টাকা চেয়েছে গেমসের প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণের জন্য। কবে টাকা বরাদ্দ হবে, আর কবে বিওএ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরু করবে তার নিশ্চয়তা ছিল না।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরু না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি ফেডারেশন প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানালেন বিওএ উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, ‘নিজেদের উদ্যোগে শুটিং, আরচারি, ভলিবল ও সাঁতার গেমসের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা পুরোদমে প্রস্তুতি শুরুর জন্য সরকারের কাছে অর্থ চেয়েছি। প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণের জন্য আমাদের বাজেট ৩৯ কোটি টাকা।’
সে অর্থ প্রাপ্তিতেই কাজ করে যাচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এসএ গেমস নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। জাহিদ আহসান রাসেলের কথায়, ‘যখন লোগো ও মাসকট উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে গেমস নিশ্চিত হলো তখন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এ ছাড়া বিওএর সভাপতি, মহাসচিবসহ আমি অর্থমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি। তাকে আমরা আমাদের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছি। আশা করি সব হয়ে যাবে। তবে এখন এমন একটা সময় ঠিক নতুন একটা বাজেটের আগ মুহূর্ত। এমন সময় অর্থ ছাড় করাটা মুশকিল। বাজেটের পর অবশ্যই এ অর্থ ছাড় হবে।’
টাকা বরাদ্দের আগেই অনুশীলন শুরু করার যে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, তাতে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না বিওএ। বিওএর উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু জানান, ‘টাকা না পাওয়া পর্যন্ত অনুশীলন করা মুশকিল। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। একেবারে তিক্ত। বিওএ আগে এভাবে অনুশীলন শুরু করেও টাকা পায়নি। প্রতিটাক্ষণ টেনশানে থাকতে হয়েছে। কখনো কখনো মনে হতো কেন যে অনুশীলন করাতে গেলাম। তাই অর্থ বরাদ্দের আগে অনুশীলন শুরু করা হবে কিনা সেটা আমাদের মহাসচিব মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা