পায়ে আঁকে মোনায়েম
- কাজী ইফতেখারুল আলম
- ১২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
দুই হাত ছাড়া জন্মগ্রহণ করে আবদুল্লাহ আল মোনায়েম। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আটকাতে পারেনি তাকে। সে এখন ফেনীর দাগনভূঞা একাডেমির তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও শ্রম দিয়ে সে ক্লাসের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, অর্জন করছে একের পর এক পুরস্কার।
দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের এনায়েতনগর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মোনায়েম। দুই ভাইয়ের মধ্যে মোনায়েম বড়। জন্মের পর দুই হাত না থাকায় মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের মন খারাপ হয়। বাড়তি পরিশ্রম করে আদর স্নেহ দিয়ে বড় করে তুলেন তার মা বিবি কুলসুম। ছয় বছর বয়সে ভর্তি করান স্কুলে। এরপর থেকেই সে ভালো ফলাফল করতে থাকে। হাত না থাকায় পা দিয়েই প্রতিদিনের পড়া খাতায় নোট করে। অন্য সবার মতো তার সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তাকে আদর করেন। পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সে। চিত্রাঙ্কনে ছেলের আগ্রহ দেখে তার মা দাগনভূঞার উজ্জীবক আর্ট স্কুলে তাকে ভর্তি করান। সম্প্রতি মোনায়েম উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সেরা পুরস্কার লাভ করে এবং জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মোনায়েমের মা বিবি কুলসুম তার ছেলের এ সফলতায় সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ায় শিক্ষকরা তাকে সবসময় সহযোগিতা করেন।
উজ্জীবক আর্ট স্কুলের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘শিশু মোনায়েমকে হাতের বিকল্প পা দিয়েই চিত্রাঙ্কনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তার ইচ্ছাশক্তি তাকে আরো অনেকদূর নিয়ে যাবে আমরা আশা করি।’ দাগনভূঞা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞাও এমন প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে মোনায়েম উচ্চতর পড়া শেষ করে কর্মক্ষেত্রে সফল হবে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যেকোনো বাধা নয়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মোনায়েম নিজেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা