১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ

উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণাকালে আ’লীগ নেতার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়

উপজেলা নির্বাচন
উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণাকালে আ’লীগ নেতার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় - ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ছোটভাই বিপ্লব কুমার সরকারের ঘুষিতে বড় ভাই তপন কুমার সরকার (৭০) নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার রাত নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট নামক স্থানে।

নিহত তপন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ন সহ-সভাপতি।

জানা যায়, আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ওই উপজেলায়। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন।

এদের মধ্যে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলের পক্ষে প্রচারনায় নামে তপন কুমার সরকার। অপর দিকে তপন কুমার সরকারের ছোট ভাই উপজেলা গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান দুলু জানান, ‘তপন কুমার সরকারসহ আমরা বাহাগিলি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকায় নৌকার পক্ষে মাইক্রোবাসে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। এ সময় সেখানে চেয়ারম্যান পদের মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপ্লব কুমার সরকার তার সমর্থকদেরসহ এসে আমাদের মাইক্রোবাস প্রতিরোধ করে তপন কুমারকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে তার পক্ষে কেন প্রচারণা করছে না বলে বচসায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ছোট ভাই বিপ্লব বড় ভাইয়ের শরীরে কিল ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আমরা আহত তপন কুমার সরকারকে দ্রুত উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ তিনি দাবি করে বলেন, ছোট ভাইয়ের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হলো।

এ ব্যাপারে বিপ্লব কুমার সরকারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার অসুস্থ বড় ভাইকে নৌকা প্রতীকের লোকজন জোরপূর্বক বাড়ি থেকে প্রচারণার জন্য নিয়ে আসে। বড় ভাই এমনিতেই হৃদরোগসহ ডায়াবেটিকস রোগে ভুগছিলেন। আমার ধারণা বড় ভাই মাইক্রোবাসে অসুস্থ হয়ে মারা যান। অথচ আমার প্রতিপক্ষরা এটিকে পুঁজি করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে।’

উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা: সুজা শরীফ জেমস বলেন, ‘আমরা রোগীকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। সেখানে চিকিৎসার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে তার শরীরে কে নো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন আর রশীদ জানান, লাশের সুরতহালে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছি।’


আরো সংবাদ



premium cement