১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


মহাজোটের শরিকদের সম্পর্কে যা বললেন আ স ম রব

আ স ম আব্দুর রব - সংগৃহীত

মহাজোটের শরিকদের মধ্যে যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে তা কিছুই না, আগামীতে তাদের সম্পর্কের আরো অবনতি হবে এবং আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

তিনি গতকাল (সোমবার) সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র অধ্যক্ষ মো: আমজাদ হোসেন সরকারসহ রংপুর, লালমনিরহাট জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তিনি আরো বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউই ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এসব ধর্ষকের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তারা। অসাংবিধানিকভাবে নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে একক আধিপত্য বিস্তার করার কারণে মহাজোটের শরীকদের ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামীতে আরো অবনতির দিকে যাবে এবং এর ফলে একটা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর ফলে আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে পারবে না।

এমনকি কোনো রকম রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়াই আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে পালাতে বাধ্য হবে। এখনই যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে নিতে মাদক নির্মূলের নামে ক্রস ফায়ারের মাধ্যমে চুনোপুঁটি কিছু মাদকব্যবসায়ীকে হত্যা করা হচ্ছে।

এর ফলে প্রকৃত মাদকসম্রাট তথা রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছে, যা তাদের জন্য এক সময় বুমেরাং হয়ে দেখা দিবে। পাশাপাশি বহির্বিশ্ব তথা জাতিসঙ্ঘসহ দাতা সংস্থাগুলোর চাপে সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। কিন্তু তা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হবে না। এতে বোঝা যায় সরকার তাদের অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কূটনীতিকদের শরণাপন্ন হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সহিংসতা সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা বিএনপি কর্মীদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে লালমনিরহাটে যারওয়ার প্রাক্কালে বেলা ১১টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন। এখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান এবং পরে তারা লালমনিরহাটের উদ্দেশে সড়কপথে রওনা দেন।


আরো সংবাদ



premium cement