২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো শিশুসহ ৫২ বাংলাদেশি

-

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছে শিশুসহ ৫২ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ। রবিবার বিকাল ৫টার সময় আন্তজার্তিক মেইন পিলার ১০৬৫ নিকট দিয়ে রৌমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে ভারতের মানকার চর ইমিগ্রেশন পুলিশ। রৌমারী চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনর রশিদ ও রৌমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ্ এ খবর নিশ্চিত করেন।

ফেরত আসা নারী-পুরুষরা
গোপালগঞ্জ জেলার কাটালিপাড়া থানার শাতিকুন্ডা গ্রামের আলেদ শেখের পুত্র আবুল কালাম (৩৫), কাশিয়ানি থানার সাতাশিয়া গ্রামের রাহুল খা (৪৭) পিতা-মো. রাজিব আলী খা, কমিল্লা জেলার লাকশাম থানার মুরহু (মাহ্মুদবাড়ী) গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪৩) পিতা- মোস্তফা কামাল, বি-বাড়িয়া জেলার বি-বাড়িয়া থানার দক্ষিন জংগল শুলতুপুর গ্রামের পুলাশ মিয়া (৩৪) পিতা-আব্দুল শাহাজান আলী, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার কুড়াইল গ্রামের সামিরুল বাবু (৩৯) পিতা-তহিউদ্দিন ও কোতায়ালী থানার পূর্ব রামনগর গ্রামের উত্তম রায় (৪১) পিতা-মৃত মনো রায়, পিরোজপুর জেলার কায়োলি থানার চিরাপাড়া গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক ফরাজী (৩৮) পিতা- মৃত ইউনুছ আলী, সিলেট জেলার সদর কোতয়ালী থানার শিলাম গ্রামের আব্দুল কাদের শেখ (৭০) পিতা- মৃত মোকবুল শেখ, সিলেট থানার বিশনাকান্দি (গঞ্জহাট) গ্রামের রশি আহমেদ (৩৫) পিতা-সোনা মিয়া, মৌলবীবাজার থানার শুমরকুড়া গ্রামের কছর আলী (২৪) পিতা- আবু কালাম আলী ও শ্রীমঙ্গল থানার সিরাজনগর গ্রামের ছুকরামনি দেব পিতা-নিকঞ্জ দেব, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের নুরুজ্জামান কেষ (৩৬) পিতা- আবু কালাম, বেহুলার চর গ্রামের নজরুল ইসলাম (১৯) পিতা- মোহাম্দ আলী, উলিপুর থানার মেকুরের আলগা গ্রামের আবু সাঈদ (৩৯) পিতা- কুদ্দুস আলী, কাচাবাচা গ্রামের আজিজুর মন্ডল (৪৯) পিতা- ইমান মন্ডল, রৌমারী থানার চর ফুলবাড়ী গ্রামের ইসকান্দার আলী (৫৬) পিতা- জমশের আলী, কুচাকাটা থানার কারিজাপাড়া গ্রামের আব্দুল সামাদ আলী (৩২) পিতা-আজমত আলী, ধালুয়াবাড়ী গ্রামের শাহিদুল ইসলাম (৩৯) পিতা আকবর আলী, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার কানধুয়া গ্রামের শাহিদুল ইসলাম (৪২) পিতা-মৃত মোবারক আলী, জিনাইদহ জেলার হরিনাকান্দা থানার চরপাড়া গ্রামের জসিম মন্ডল (৩৬) পিতা- মৃত দিদার মন্ডল, চিটাগং জেলার বাসাইল থানার পূর্ব শেওরিয়া গ্রামের সুজন দাস (৩৯) পিতা-মাহিনদ্র লাল দাস ও কোতয়ালী থানার ষ্টীশন কোলনি গ্রামের মোহাম্দ আলী (২৮) পিতা-আব্দুল মান্না, সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার হরিনাথ পুর গ্রামের মঞ্জু খান (৪২) পিতা- আবুল কাশেম ও সাজাদপুর থানার শান্তসা গ্রামের ফজলুল মন্ডল (৩৮) পিতা-মৃত হারমুজ মন্ডল ও মান্নান হাসান (৯) পিতা- ফজলুল মন্ডল, মাদারিপুর জেলার শিবচর থানার কুতুবপুর গ্রামের আব্দুল আজিম শেখ (২৯) পিতা-আব্দুর রহিম শেখ, গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর থানার কাশিমপুর গ্রামের কাঞ্চন আলী হাওলাদার (৭২) পিতা-মৃত আব্দুল আলী হাওলাদার, চরোবটি থানার চুরাবাড়ী গ্রামের মুসা মিয়া (৪৭) পিতা- মো. আমির আলি, গাইবান্দা জেলার গাইবান্দা থানার বলামগর গ্রামের বাবুল মিয়া (৪০) পিতা- বাদশা মিয়া, সুন্দরগঞ্জ থানার বাজারপাড়া গ্রামের আশরাফুল (৩৬) পিতা-শফি আলী, বাঘের হাট জেলার নাজির পুর থানার কুমারপুর গ্রামের নুর ইসলাম (৩৩) পিতা- মাহ্বুব হোসেন, বরিশাল জেলার কাতুয়ালী থানার উত্তর পানবাড়িয়া গ্রামের সোহেল শরিফ (৩০) পিতা-মৃত শাহাজান শরিফ, মায়মেনসিং জেলার ভালুকা থানার রবিন বাহ্মন (৩৯) পিতা- আনধিরা বাহ্মন ও ত্রিশাল থানার আমিরাবাড়ী গ্রামের আব্দুল আওয়াল (৬১) পিতা- মৃত নায়েব আলী, লালমনির হাট জেলার কাহারল থানার কাঞ্চনালপুর গ্রামের নিথাই চক্র দাস (৩৯) পিতা- শসিল চন্দ্র দাস, নেত্রকোনা জেলা কাহালিয়াজুরি থানার মুরাদপুর গ্রামের গোপান চন্দ্র সরকার (৪২) পিতা-মৃত নীরধান চন্দ্র সরকার, ঢাকা জেলার পল্লবী থানার মাহুরাপাড়া গ্রামের মোহাম্দ আলী (৩৭) পিতা-মৃত বছির উদ্দিন, শ্রীনগর ও দুহার থানার মেঘহিয়া গ্রামের মজিবুর রহমান (৪১) পিতা- মৃত রিয়াজ উদ্দিন, শেরপুর জেলার চর শাহেবদী গ্রামের ইয়ার খান (৩৬) পিতা-সামছুল হক, ক্রিষ্টপুর গ্রামের মোখলেচ আলী (৪৩) পিতা- সাদেক আলী, জিনাইগাতি থানার জিনাইগাতি গ্রামের মোস্তফা আলী (৪৮) পিতা- আব্দুল সাত্তার, মরজিনা বেগম (৩৮) স্বামী- মোস্তফা, জামালপুর জেলার পাতালিয়া গ্রামের আবু বক্কর পিতা- পিতা- ফকির মছুর আলী, ইসলামপুর থানার মাজবাড়ি গ্রামের সামিমা বেগম (২৮) স্বামী- আবু শেখ, সাবিরন বেগম (৩৩) স্বামী- আব্দুল করিম, জরিফা বেগম মাতা- সাবিয়া বেগম, নরসিন্দি জেলার রায়পুর গ্রামের জাহানার বেগম (২৬) স্বামী-ইয়ার খান, বিপাড়া গ্রামের ইনসানা খাতুন মাতা- জাহানারা বেগম, পারবিনা খাতুন মাতা-জাহানার বেগম, নড়াইল জেলার নারাকাতি থানার চৌরিকাতি গ্রামের জুয়েল খান পিতা- ইসলাম খান, চাঁদপুর জেলার বসিরউল্লা ডাক্তার বাড়ী গ্রামের মমেনা আক্তার (৩৮) স্বামী- হুমায়ন কবির ও ফরিদপুর জেলার নাগরকান্দা থানার বিবাদী গ্রামের লোকমান শেখ (৪৮) পিতা- মৃত ইরশাদ আলী।

কারাভোগ শেষে নিজ দেশে সাংবাদিকদের মুখমুখি হন মরজিনা বেগম তিনি জানান, আমি সরকারি নিয়ম অনুসারে ভারত ভ্রমণ করি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগে আমি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে সুস্থ হয়ে ফিরার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্ট এর তিনদিন মেয়াদ থাকা স্বত্ত্বেও আমাকে আটক করা হয়। দীর্ঘ ১৩ মাস সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরা হল। মানুষের মরণ কখন হয় তা কেউ জানেন না। তাই সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আইনের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।

রৌমারী চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনর রশিদ জানায়, শিশুসহ ৫২ নারী-পুরুষকে রৌমারী থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় পুলিশ। এর মধ্যে ৯ নারী ৪৩ জন পুরুষকে (রৌমারী থানা ও বিজিবি) গ্রহণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন রৌমারী থানা ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। সকল ব্যাক্তিদের তাদের নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে রৌমারী থানা ইনচার্জ (ওসি ) জাহাঙ্গীর আলম জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যায় ওই নারী-পুরুষরা। পরে ভারতের সাউত সালামারা ও মানকার চর পুলিশের হাতে আটক হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় তাদের। শেষমেশ বাংলাদেশ-ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগোযোগের প্রেক্ষিতে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement