২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিরাপদ সড়ক কত দূরে

-

একজন বাংলাদেশী নাগরিক কলকাতায় গেছেন উন্নত চিকিৎসা নিতে। সেখানে পৌঁছে পরদিন সকালে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়ে স্থানীয় এক পথচারীকে বললেন, ‘দাদা, কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের লোকেশনটা একটু বলবেন কি?’ পথচারী বললেন, ‘দাদা, একটু সামনে গিয়ে ডানেই হাসপাতালটি’। তার কথামতো এক কিলোমিটার হেঁটেও হাসপাতাল পেলেন না। তিনি আর একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন। লোকটি তাকে বললেন, ‘দাদা, একটু সামনে গিয়ে বামে গেলেই হাসপাতালটি পেয়ে যাবেন।’ এভাবে তিনি তিনজনের কাছে জিজ্ঞেস করে দিকনির্দেশনা নিয়ে চার কিলোমিটার পথ হেঁটে গেলেন কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছতে পারলেন না। বাংলাদেশের জনগণের কাছে নিরাপদ সড়কের চাওয়াটা কি কলকাতার হাসপাতালের মতো দূরবর্তী বিষয়? সেখানে সহজে পৌঁছানো যায় না, সবসময় একটা ধোঁয়াশা বিরাজ করে, অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সুর বাজে।
বাংলাদেশের সূচনা থেকেই সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগব্যবস্থার অগ্রযাত্রা ধীরগতিতে চলছে। যানবাহনে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে। এ জন্য আমাদের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের মূল কাজ লেখাপড়া ছেড়ে সরকারের দাবি মেনে নেয়ার মৌলিক ঘোষণাকে গৌণ করে আন্দোলন করতে রাজপথে নেমে আসে। অবশ্য সরকারের কঠোর তৎপরতায় বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী ঘরে ফিরে গেছে। এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত করলেও রাতারাতি কোনো সুফল আসবে বলে মনে হয় না। তবে সরকার ও জনগণ এই আন্দোলনের মর্মবাণী বুঝতে পেরেছে এবং সমর্থন করেছে। সুদূর ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিশু-কিশোরদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শান্তির জন্য নোবেলবিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস। তিনি শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তুমিই বাংলাদেশ! তোমার চোখেই দেখতে চাই বাংলাদেশকে। তোমরা পথ বের করছো। তোমরা তোমাদের পথেই থাকো।’ কলকাতার মানুষ এই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে মিছিল-সমাবেশ পর্যন্ত করেছে। এই আন্দোলনে দেশী-বিদেশী মিডিয়া অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে। তবে মনে হয়, সব ছাপিয়ে অভিনব কায়দায় অহিংস প্রতিবাদ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ৩৫০ জনের মতো ছাত্রী। তারা স্কুলের একটা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় সবাই মিলে পরীক্ষার খাতায় 'ডঊ ডঅঘঞ ঔটঝঞওঈঊ' লিখে পরীক্ষার হল ছেড়ে ক্যাম্পাস মাঠে সমবেত কণ্ঠ জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেছে। কোমলমতি ছেলেমেয়েদের নিরাপদ সড়কের জন্য দুর্বার আন্দোলন আর ভিকারুননিসা স্কুলের ছাত্রীদের এই সৃজনশীল প্রতিবাদ দেখে তাদের ছোট মনে করা কোনো কারণ নেই। তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশ ও জাতিকে নিয়েও অনেক কিছু ভাবে। তাদের হাতেই আমাদের দেশের কাক্সিক্ষত ভবিষ্যৎ।
এখন উচিত যার যার অবস্থানে থেকে সত্য ও ন্যায়পথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। ইতিহাসের পাতায় এই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।
আমাদের যোগাযোগব্যবস্থার নানাবিধ সমস্যা রয়ে যাওয়া জাতীয় অগ্রগতির জন্য অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। যে দেশ যত বেশি যোগাযোগব্যবস্থায় উন্নত, সে দেশ সার্বিকভাবে তত বেশি উন্নত। বর্তমানে এ দেশে ৩৫ লাখ নিবন্ধিত ও ২০ লাখ নিবন্ধনহীন যানবাহন রয়েছে এবং এর বিপরীতে অর্ধেকেরও কম, ২৬.৩৯ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে নিঃসন্দেহে মেয়াদোত্তীর্ণ, আর ভুয়া নিবন্ধনপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে। বছরে ১০ লাখ যানবাহনের লাইসেন্স নেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৬.৩ লাখ সনদপত্র নেয়া হয়। এর সাথে এ কথাও বলা যায়, ঢাকা মহানগরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৪ হাজার লোকের বসবাস, যে ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১২০টি মোটরযান বাড়ছে। তদুপরি, পরিবহনক্ষেত্রে সরকারি সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। বিআরটিএতে নানা অনিয়ম, দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকে নিজের ও গাড়ির লাইসেন্স করতে অনীহা দেখাচ্ছেন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাল লাইসেন্স করিয়ে নিচ্ছেন। তা ছাড়া, বিআরটিসিতে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা ও কিছু লোকের অনৈতিক কমর্কাণ্ডের কারণে সরকারি পরিবহন খাত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। এসব তথ্য জাতিকে শুধু উদ্বিগ্ন করে না; আতঙ্কিতও করে দেয়।
যোগাযোগ অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা আশানুরূপ না হওয়ার কারণে অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও আমরা তেমন এগোতে পারছি না। অব্যবস্থাপনা ও অসৎ চক্রের অপতৎপরতার কারণে বিশাল অবকাঠামো ও সম্পদ থাকার পরও প্রতি বছর রেল খাতে বিপুল লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ লোকসান আবার জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি দিয়ে পূরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমান বছরের পর বছর মহা লোকসানের বোঝা টানছে। অথচ বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো সীমিত উড়োজাহাজ ও সম্পদ নিয়ে লাভ করে যাচ্ছে। তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বেশ যাত্রী পাচ্ছে। তবুও বাংলাদেশ বিমান নাকি বিভিন্ন রুটে যাত্রী সঙ্কটে ভুগছে। এবারেও যাত্রীর ‘অভাবে’ বাংলাদেশ বিমানের বেশ কয়েকটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যা আমাদের পক্ষে বিশ্ব অর্থনীতিতে ইমার্জিং টাইগার হওয়া করে তুলছে কঠিন। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরে রাস্তার দুরবস্থা এবং ট্রাফিক সিস্টেমে অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে ভয়াবহ জ্যাম সৃষ্টি হয় ঘন ঘন। এর দরুন হাজার হাজার কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে দেশের হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
সরকারের কিছু পদক্ষেপ যেমনÑ মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীতকরণ, রাস্তা চওড়া করাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ যোগাযোগব্যবস্থায় গতি এনেছে। বলা হয়, যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর জাতীয় অর্থনীতিতে ১.২ জিডিপি যুক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের জিডিপি ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। এখন যুগের একটি সেরা চাহিদা যোগাযোগ অবকাঠামো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ। পাশাপাশি জনগণের দীর্ঘ দিনের চাহিদা নিরাপদ সড়ক ও যাত্রীবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে কিছু যুগোপযোগী পদক্ষেপ চাই এবং নাগরিক দায়িত্ব পালনে যতœশীল হতে হবে। যেমনÑ গাড়ির চালক ও তার সহকারীদের নিয়মিত মজুরিভিত্তিক করা এবং ভালো কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের তিরস্কার বা শাস্তি নিশ্চিত করা। পরিবহন শ্রমিকদের জন্য সমিতি গঠন করা যেখানে সরকার ও মালিকেরা চাঁদা দিয়ে ফান্ড তৈরি করে দিবেন যার মাধ্যমে তাদের জীবন বীমা ও চাকরি শেষে গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবহন শ্রমিকদের, বিশেষ করে চালকদের ডোপ টেস্ট করা দরকার। দরকার হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করে অভিযুক্ত হলে তৎক্ষণাৎ গাড়িচালনা থেকে প্রত্যাহার, ড্রাইভিং লাইসেন্স সাময়িক বাতিল এবং অর্থদণ্ড ও শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। লাইসেন্স ও ফিটনেস ব্যতিরেকে গাড়ি চালনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। নৌযানের ফিটনেস এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী রাখা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পরিবহন সংগঠনের বাড়াবাড়ির রাস টেনে ধরা জরুরি যাতে তারা অযৌক্তিকভাবে জনসাধারণকে ভোগান্তিতে ফেলতে না পারে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রাসঙ্গিক জনসচেতনতা বৃদ্ধি কর্ াআবশ্যক। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোস্যাল মিডিয়াকে সম্পৃক্ত করা যায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালকসহ পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা সময়ের দাবি। রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সব সড়ক অবৈধ স্থাপনা ও দখলমুক্ত করতে হবে। যে কারো অযাচিত দাবি ও চাহিদা রোধ করা উচিত। ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার ছাড়াও রাস্তা পারাপার, গাড়িতে আরোহণ ও নামার সময়ে ট্রাফিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে যতœবান হতে হবে। এলাকাভিত্তিক স্কুল-কলেজে ভর্তি এবং ছেলেমেয়েদের বাসে যাতায়াত বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। মহানগরে পর্যাপ্ত মহিলা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে, যাতে তারা যৌন হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হওয়া ব্যতিরেকে নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলতে পারেন।
শহরগুলোর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে হাঁটা ও বাইসাইকেলের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে হবে। সাইকেলের জন্য আলাদা লেন ও দখলমুক্ত ফুটপাথ এবং নির্বিঘেœ, নিরাপদে চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে অফিস থেকে বাইসাইকেল ক্রয়সহ আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যারা অফিস থেকে কম দূরত্বে বসবাস করবেন, তারা যদি হেঁটে অফিস করেন, তাদেরকে সম্মানী দেয়া যেতে পারে। অফিস-আদালতের নমনীয় ক্রমিক সময়সূচি নির্ধারণ করাও দরকার। ঢাকা শহরের চার পাশ দিয়ে সার্কুলার রোড নির্মাণকাজ দ্রুত ও শেষ করা। শহরের মধ্যে এবং কাছে খাল, লেক, অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করে জলযান চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, নরসিংদী ও কেরানীগঞ্জে উপশহর গড়ে তোলা এবং কমিউটার যানবাহনের ব্যবস্থা করা, বিশেষ করে বেসরকারি খাতকে এ জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিত। ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনের মরহুম মেয়র আনিসুল হকের প্রস্তাব অনুযায়ী, ঢাকা শহরের সব বাস কোম্পানিকে ‘একই ছাতা’র নিচে এনে পাঁচ বা ছয়টি বাস কোম্পানির আওতায় পরিচালনা করা যেতে পারে। পুরনো হয়ে পড়া গণযানবাহনের ক্ষেত্রে উচ্চহারে সড়ক কর আরোপ করা যায়। গণপরিবহন খাতকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ন্যায়পালের সাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করাও সহায়ক।
আইনের ব্যত্যয় হলে অর্থদণ্ড এবং গুরুতর নিয়মভঙ্গের ক্ষেত্রে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ মন্ত্রী পরিষদ সভায় পাস হয়েছে। সেখানে সাম্প্রতিক আন্দোলনের ন্যায্য দাবি ও যুগের চাহিদা অনুযায়ী কিছু ধারা সংযোজন করা হয়েছে। তার অন্যতম হলো, পেশাদার চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে’ মোটরযান মালিককে চালকের সাথে লিখিত চুক্তিপত্র করতে হবে; পাশাপাশি এডিবির সহায়তায় এক লাখ দক্ষ ড্রাইভার সৃষ্টির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে, তা ১০ বছর করলে আরো ভালো হতো বলে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অন্য দিকে ‘নিরাপদ সড়ক চাই, আন্দোলনের পথিকৃৎ ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ছেলেমেয়েদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক হীন স্বার্থে ব্যবহার করায় মিডিয়ার সামনে এসে যেমন অঝোরে কেঁদেছেন, তেমনি নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন- ১৮’কে ত্রুটিপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
মোদ্দাকথা, নতুন আইনকে আমরা শুধু কাগুজে উদ্যোগ হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই, এই আইন বাস্তবে প্রয়োগ করে সড়ক ও ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা দূর করে মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ পূরণ করা হবে।হ
লেখক : এমফিল গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement