০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আগুণ ভয়াবহ হয়েছে থিনারের ড্রাম থেকে 

আগুণ ভয়াবহ হয়েছে থিনারের ড্রাম থেকে  - নয়া দিগন্ত

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে থিনারের ড্রাম পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান। তিনি বলেছেন, থিনারের ড্রামের কারণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়  তিনি এ কথা বলেন।

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৬৭টি লাশ উদ্ধার করেছি। তবে দু’একটি লাশ একটির সাথে একটি লেগে যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে না সেখানে একটি নাকি দুইটি লাশ রয়েছে।

আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। তবে এখানে একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা একটি পিকআপ ভ্যান বিস্ফোরণের তীব্রতায় উপরের দিকে উঠে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথাও জানান ফায়ারের ডিজি।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার পর পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ৪১ লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন নারী, দুই শিশু ও ৩৭ জন পুরুষ। এরইমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে অনেকের মরদেহ।ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রায় ১৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়।

আগুন নেভানোর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিষয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আলী আহম্মেদ খান বলেন, এখানে আসার রাস্তাটির দু’পাশই সরু। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহজে ঢুকতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ভবনে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মোট পাঁচটি ভবনে আগুন লেগে যায়। এখনো আমাদের কাজ চলছে। আমরা কাজ শেষে সার্চ করবো।

তিনি বলেন, এখানে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বানানো হয়। বডি স্প্রেও এখানে বানানো হয়। বডি স্প্রে তৈরির দাহ্য পদার্থে আগুন বেশি ছড়িয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডার নাকি ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ, নাকি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হচ্ছে। তদন্ত করলেই বোঝা যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement