১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


বি চৌধুরীর নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিচ্ছেন যারা

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। - ছবি: সংগৃহীত

বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে আজ সংলাপে অংশ নেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে লেখা এক চিঠিতে বিকল্পধারার মহাসচিব এ তালিকা দিয়েছেন। চিঠিটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে পৌঁছে দেন বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।


চিঠিতে মেজর (অব.) মান্নান গণভবনে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সময় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রতিনিধি দলে যারা থাকছেন- যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট বিকল্পধারা বাংলাদেশ অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, সহ-সভাপতি মিসেস মাহমুদা চৌধুরী, ব্যারিস্টার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা, বিএলডিপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা এবং জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান।

গণভবনে নৈশভোজে সাদা ভাত, লাল আটার রুটি, ফুলকপি, সিম, আলু ভাজি, যেকোনো মাছের ঝোল ও মসুরের ডাল রখার জন্য বি. চৌধুরীরর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

আরো পড়ুন : কেন গণভবনে যাননি গয়েশ্বর?

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০১ নভেম্বর ২০১৮, ২১:০৬


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে মিলিত হয়েছেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের উদ্যোগ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফলে আজ সন্ধ্যা সাতটায় দেশবাসীর বহু কাক্সিক্ষত সংলাপ শুরু হয়েছে গণভবনে।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২১ জন নেতা গণভবনে এক টেবিলে বসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যোগ দেননি বিএনপির অন্যতম নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

প্রথমে যে নামের তালিকা করা হয়েছিল সেখানে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নাম ছিল না। পরবর্তীতে আরো পাঁচজন বাড়ানো হয়েছে বলে যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল সেখানের বিএনপির এই অন্যতম নেতার নাম ছিল।

কিন্তু গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের সাথে যোগ দেননি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা। এটা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন কেন গেলেন না গয়েশ্বর চন্দ্র রায়? 

জানা গেছে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় যোগ দেননি।

এছাড়াও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাও গণভবনে পৌঁছতে দেরি করেন।

গণভবনে একই টেবিলে বসছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে মিলিত হয়েছেন দেশের শীর্ষ রাজনীতিকরা। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের উদ্যোগ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফলে আজ সন্ধ্যা সাতটায় দেশবাসীর বহু কাক্সিক্ষত সংলাপ শুরু হয়েছে গণভবনে।  

জানা গেছে, তাদের প্রত্যেকে দুই মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পাবেন।

সংলাপে উপস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ২২ নেতারা হলেন— দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল মতিন খসরু, কাজী জাফরুল্লাহ, ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, স্থায়ী কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম। তাদের সঙ্গে আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া এবং ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন।

অন্যদিকে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে রয়েছেন ২০ জন। তারা হলেন— মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তাদের সঙ্গে থাকছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম; গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন ও সহসভাপতি তানিয়া রব; ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে থাকছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর বাইরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসছেন না বলে জানা গেছে।

এর আগে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে রোববার (২৮ অক্টোবর) চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে এ সংক্রান্ত দুইটি চিঠি হস্তান্তর করেন।

পরে, সোমবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দলীয় শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, ওই বৈঠকেই সংলাপের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর কন্যার দরজা কারও জন্য বন্ধ থাকে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আমরা সংলাপে বসতে রাজি এবং তাদের সঙ্গে সংলাপে বসব।

পরে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপ চিঠি নিয়ে হাজির হন ড. কামালের বাসায়। ওই চিঠিতে বলা হয়, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় গণভবনে সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরো সংবাদ



premium cement
এক বছর পর দাউদকান্দিতে ড. মোশাররফ গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন রাজধানীতে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ আজ কুয়াকাটা সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমুদ্রস্নান সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আ’লীগ জনগণকে নাগরিক হিসেবে বাতিল করেছে : জোনায়েদ সাকি ইবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন মালয়েশিয়ায় বিএমইটি কার্ডের নামে প্রতারণার ফাঁদ : সতর্ক করল দূতাবাস ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল আল মাহমুদপুত্র মীর তারিকের ইন্তেকাল

সকল