২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের

রাজশাহী ও চট্টগ্রামে জনসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট - ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের পর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকারবিরোধী নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে জনসভা হবে। গত রাতে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর এক সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৯টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বৈঠকে বসে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহেদুর রহমান, গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু উপস্থিত ছিলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো: মনসুরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে হজরত শাহ জালাল ও হজরত শাহ পরানের রহ:-এর মাজার জিয়ারত আমরা করব। এরপর সেখানে জনসভা করব। স্থানীয় নেতারা জনসভার বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আলাপ-আলোচনা করছেন। বৈঠকে চট্টগ্রামে ২৭ অক্টোবর এবং রাজশাহীতে ৩০ অক্টোবর জনসভার করা সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় গুলশানে হোটেল লেক শোরে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। পরে সুশীল সমাজের সাথেও ফ্রন্ট নেতারা মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে দিনণ ঠিক হয়নি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সদস্যদের নাম আজ-কালের মধ্যে আমরা গণমাধ্যমকে জানাব। কত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি হবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশা করি যে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আরো দল অন্তর্ভুক্ত হবে সেজন্য সংখ্যা নির্ধারণ করিনি। 
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেস কাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭ দফা ও ১১ দফা ল্য নিয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ হয়। নতুন জোটে বিএনপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য ও গণফোরাম রয়েছে।

‘সরকার যাবার আগে একটা মরণ কামড় দেবে’

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং এ দেশের মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য, একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলবার জন্য।

গতকাল সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। সেই সাথে বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী আজকে মামলা নির্যাতনে জর্জরিত। দেশে গণতান্ত্রিক স্পেস ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে। 
তিনি বলেন, ‘একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং নির্বাচনের সময়ে সেনা মোতায়েন করতে হবে।’ আর ইভিএম ব্যবহার চলবে না।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। 
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিনসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।


আরো সংবাদ



premium cement