২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাড়িতে সাপের খনি!

বাড়িতে সাপের খনি! - সংগৃহীত

বাড়ির নিচে কিছু একটা নড়াচড়া করছিল বলে সন্দেহ করেছিলেন গৃহকর্ত্রী৷ কিন্তু এমন একটা জিনিস যে দেখা যাবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতেই পারেননি৷ আমেরিকার টেক্সাসের এক বাড়িতে তারপর যা পাওয়া গেল, তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে সকলের৷ একটা, দুটি নয়৷ পয়তাল্লিশটা সাপের ছানা! তাও আবার নিতান্ত নির্বিষ নয়৷ একেবারে বিষধর ব়্যাটেলস্নেক৷

ঘটনাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের আলবেনি এলাকার৷ ঘরদোর পরিষ্কার করতে গিয়ে গৃহকর্ত্রীর মনে হয়েছিল, বাড়ির নিচে কিছু একটা রয়েছে৷ কী সেটা? তা দেখতে গিয়েই ভয়ে তার হাড়হিম দশা৷ একটা বড়সড় জায়গা জুড়ে কিলবিল করছে কতগুলো সাপের ছানা৷ প্রথমে চূড়ান্ত ভয় পেয়ে ছিটকে সরে গিয়েছিলেন তিনি৷ তারপর কিছুটা শান্ত হয়ে ফিরে এসে দেখেন, ওরে বাবা! পঁয়তাল্লিশটা সাপ৷ কীভাবে ওদের বের করবেন, তা ভেবেই পাচ্ছিলেন না৷ ভাবছিলেন, বাড়ির ওই অংশটা বোধহয় পুড়িয়ে ফেলতে হবে৷ কিন্তু তারপর মাথায় চলে আসে ব্যাপারটা৷ খবর দেয়া হয় এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্প সংরক্ষকদের৷ তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধীরে ধীরে সাপের বাসা ভেঙে, বাচ্চাগুলিকে উদ্ধার করেন৷ তার আগে অবশ্য পুরো উদ্ধারকাজটা ভিডিও করে রেখেছিলেন গৃহকর্তা৷ সেটা ইন্টারনেটে আপলোড করা মাত্রই হু হু করে তা ছড়িয়ে পড়ল৷

কিছুটা সময়ের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষজন তা দেখে ফেলেছেন৷ কেউ কেউ বলছেন, যারা এই দৃ্শ্য এত ধৈর্য ধরে ক্যামেরাবন্দি করেছেন, তাঁদের অসীম সাহস৷ কারও আবার এত সাপের ছানা কিলবিল করতে দেখে মানসিক অবস্থা বেশ খারাপ৷ বলছেন, আতঙ্ক, ঘৃণা সব মিলেমিশে একাকার৷ অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে৷

সর্প বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন অন্য কথা৷ টেক্সাসের এই এলাকাটি একটু নির্জন৷ তাই সেখানে এ ধরনের সাপ বসতি গেড়েছে৷ ইদানিং সাপেদের প্রকৃত পরিবেশ নানাভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে৷ তাই এরা নির্জন স্থান খুঁজে বেড়ায়৷আগেও এই এলাকাতেই মিলেছিল তিরিশটি বিষধর ব়্যাটেলস্নেক৷ফের একই ঘটনা৷

সৈকতে দৈত্যাকৃতির মাছ
বিবিসি
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার একটি সৈকতে দৈত্যাকৃতির, অদ্ভুত আকৃতির একটি মাছ ভেসে আসার পর এর ছবিগুলো ভাইরাল হয়েছে। এক দশমিক ৮ মিটার (৬ ফুট) লম্বা এই নমুনাটিকে বিশেষজ্ঞরা একটি সামুদ্রিক সানফিশ হিসেবে শনাক্ত করেছেন।

ওই এলাকার একদল জেলে সৈকতের বালির ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় প্রথম মাছটিকে দেখতে পান। লিনেত গোজেলাক জানিয়েছেন, প্রথমে এটিকে ভেসে আসা বড় একটি কাঠের খণ্ড বলে ভুল করেছিলেন তারা। তিনিই তার ব্যবসায়ীক পার্টনারের ফেইসবুক পেইজে ছবিগুলো পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘গুগলে সানফিশ নাম পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এটাকে সত্যি বলে মনে করিনি’।


তার পার্টনার স্টিভেন জোন্স কয়েক বছর ধরে মাছ ধরার কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাই সে জানত এটা কী কিন্তু এর আগে বাস্তবে কখনো দেখেনি। এ কারণেই এটির ছবি তুলেছে তারা। সে জানিয়েছে এটি অত্যন্ত ভারী আর এর চামড়া খসখসে অনেকটা গণ্ডারের চামড়ার মতো।’

অ্যাডিলেড শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে কুরঙ ন্যাশনাল পার্কে মাছটিকে পাওয়া য়ায়। মাছটি পরে ঢেউয়ের তোড়ে ফের সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামুদ্রিক সানফিশ বা মোলা মোলা বিশ্বের সবচেয়ে ভারী কাঁটাযুক্ত মাছ। বিশ্বব্যাপী নাতিশীতোষ্ণ সামুদ্রিক জলে এগুলোকে পাওয়া যায়। বড় ভোঁতা মাথা, বেমানান ছোট মুখ, পিঠে লম্বা পাখনা ও পেছন দিকেও পাখনা আছে এই মাছের। 
এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে যে মাছটি পাওয়া গেছে সেটিকে ছোট বলে মনে হয়েছে, কারণ এই মাছগুলো ৪ মিটারেরও (১৩ ফুট) বেশি লম্বা ও আড়াই টনেরও (২,৫০০ কেজি) বেশি ওজনের হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement