রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ঐতিহাসিক অস্ত্রবিস্তার রোধচুক্তি থেকে ট্রাম্পের সরে যাওয়ার চেষ্টা মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করতে পারে এবং বিশ্বকে আরো বিপজ্জনক স্থানে পরিণত করবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৭ সালের মাঝারি পাল্লার পরমাণু অস্ত্র (আইএনএফ) থেকে সরে গেলে রাশিয়া তার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। কারণ আইএনএফ বাতিলের অর্থ কী? এর অর্থ যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে এ ধরনের অস্ত্র নির্মাণ শুরু করবে। আর এ ক্ষেত্রে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে রাশিয়া ও অন্য দেশও প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাশিয়ার সাথে আলোচনা করতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে মস্কো পৌঁছার সময় পেশকভ এ মন্তব্য করলেন। দুই দিনের এ সফরে বোল্টন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন। চুক্তি থেকে ট্রাম্পের সরে যাওয়ার বিষয়ে তিনি ক্রেমলিনের প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
চীন ও ফ্রান্সের বিরোধিতা
চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে যাওয়ার মাধ্যমে ভুল করছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনাইং বলেন, আমরা এ প্রত্যাহারের বিরোধী। এ দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইনামুয়েল ম্যাক্রোঁ ট্রাম্পকে বলেছেন, পরমাণু চুক্তিটি ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ বলেছেন, ১৯৮৭ সালের পরমাণু অস্ত্র চুক্তি বাতিলে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ অর্জনের প্রচেষ্টার বিপরীত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা