২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইয়েমেনের ৫২ লাখ শিশু দুর্ভিরে ঝুঁকিতে

ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষপীড়িত এক শিশু :ইন্টারনেট -

ইয়েমেনে ৫২ লাখ শিশু দুর্ভিরে ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশটিতে চলমান যুদ্ধের কারণে খাবার ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় সেখানে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন গতকাল বুধবার এক রিপোর্টে একথা জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ইয়েমেনে খাবারের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে অতিরিক্ত ১০ লাখ শিশু এখন দুর্ভিরে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে দুর্ভিরে ঝুঁকিতে থাকা মোট শিশুর সংখ্যা বেড়ে ৫২ লাখে দাঁড়াল।
সেভ দ্য চিলড্রেন আরো জানায়, বন্দরে যেকোনো ধরনের অবরোধ লাখো শিশুর জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিবে। এছাড়া আরো কয়েক লাখ শিশুকে দুর্ভিরে দিকে ঠেলে দিবে। ২০১৪ সাল থেকে দেশটিতে ইরান সমর্থিত শিয়া হাউছি বিদ্রোহীদের সাথে প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বিহ মানসুর হাদির অনুগত সৈন্যদের সংঘর্ষ চলছে। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানাসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেয়। এতে দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বিহ মনসুর হাদি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত আরেকটি শিয়া গোষ্ঠীর উত্থানের আশঙ্কায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরো সাতটি আরব দেশ হাদিকে ফের মতায় বসাতে তৎপর হয়। সেই ল্য সামনে রেখে হাউছিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এতে ইয়েমেনজুড়ে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় পাঠানো ত্রাণের বেশির ভাগই প্রধান সমুদ্র বন্দর হোদাইদার মধ্য দিয়ে ওই এলাকাগুলোতে যায়। কিন্তু হোদাইদার চার পাশে চলা লড়াইয়ের কারণে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় ত্রাণ সরবরাহ ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এতে বিদ্যমান পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, লোহিতসাগরের হোদাইদা বন্দর থেকে রসদ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দেশটিতে খাদ্যাভাব নজিরবিহীন পর্যায়ে চলে যেতে পারে। চলতি মাসের প্রথম দিকে সেইভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছিল, চলতি বছর এ পর্যন্ত তারা তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় চার লাখ শিশুকে চিকিৎসা দিয়েছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৩৬ লাখেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বেসরকারি এই সংস্থাটি। নতুন ১০ লাখ শিশুকে নিয়ে এখন মোট ৫২ লাখ শিশু দুর্ভিরে সম্মুখীন জানিয়ে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী হেল থর্নিং-শ্মিট জানিয়েছেন, ‘লাখ লাখ শিশু জানে না, এরপর তারা কখন খাবার পাবে অথবা আদতেও খাবার পাবে কি না। উত্তর ইয়েমেনের (বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত) একটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেখানে শিশুদের কান্না করারও শক্তি নেই, ুধায় তাদের দেহ অবসন্ন হয়ে গেছে।’


আরো সংবাদ



premium cement