০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চীনা বন্দিশিবিরে আটক ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম : জাতিসঙ্ঘ

-

চীন সরকার দেশটির ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলমানকে তথাকথিত ‘কাউন্টার-এক্সটেরিমিজম সেন্টার’ বা চরমপন্থাবিরোধী শিবিরে বন্দী করে রেখেছে। এদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ নেই, বরং ধর্মীয় কারণে এবং চীনের কমিউনিস্ট সরকারের প্রতি জোরপূর্বক আনুগত্য আদায়ের জন্য তাদেরকে বন্দী করা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে কমিশনে এমন রিপোর্ট তুলে ধরেছে।
জাতিসঙ্ঘের ‘এলিমিনেশন অব র্যাসিয়াল ডিসক্রিমিনেশন’ কমিটির সদস্য গে ম্যাকডোগাল শুক্রবার জেনেভায় এই বিশ্ব সংস্থার চীনবিষয়ক দুই দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথম দিনে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চীন সরকার উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে ‘একটি বিশাল বন্দিশিবিরে’ পরিণত করেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। চীনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বেইজিং অবশ্য অতীতে এ ধরনের বন্দিশিবিরের অস্তিত্ব থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
চীনের জাতিগত উইঘুর মুসলমানদের বেশির ভাগ সেদেশের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করেন। প্রদেশের শতকরা প্রায় ৪৫ ভাগ জনগোষ্ঠী উইঘুর সম্প্রদায়ের। কয়েক মাস ধরে এ খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে, জিনজিয়াংয়ের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ব্যাপক হারে আটক করা হচ্ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসঙ্ঘের এই কমিটির কাছে নানা তথ্যচিত্র তুলে ধরে দাবি করেছে, চীনা মুসলমানদেরকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
উইঘুর মুসলমানদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস’ বলেছে, বন্দিদেরকে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই আটকে রাখা হচ্ছে এবং সেখানে তাদেরকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেøাগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বন্দিদেরকে ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না এবং ব্যাপকভাবে নির্যাতন করা হয়।
গত এপ্রিলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা লরা স্টোন দাবি করেছিলেন, চীন সরকার সেদেশের উইঘুর সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, যে কেউ জিনজিয়াং প্রদেশ সফরে এসে দেখতে পারেন, এখানকার জনগণ শান্তিতে বসবাস করছে এবং সন্তুষ্টচিত্তে কর্মজীবন উপভোগ করছে। তারা উন্নত জীবনযাপন করছে বলেও তিনি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে এমন সময় এ তথ্য প্রকাশ করা হলো যখন দেশটির অন্যত্র মসজিদ ভাঙার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় আন্দোলন করছেন মুসলমানেরা। উত্তর-পশ্চিমের নিয়াংজিয়া অঞ্চলে নতুন করে নির্মিত ওয়েইঝু গ্রান্ড মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে গত শুক্রবার রাস্তায় নামেন শত শত মানুষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবন নির্মাণের যথাযথ নিয়ম না মেনেই নতুন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, চীনে এমনিতেই ধর্মীয় কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তার ওপর এখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরকারের বৈরিতা আরো বাড়ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নয়া দিগন্তের শৈলকুপা সংবাদাতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ সুন্দরবনে জ্বলছে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শায়েস্তাগঞ্জে সাবেক সেনা সদস্য ট্রাকচাপায় নিহত ইসরাইল-গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে কায়রোতে জোরদার প্রচেষ্টা ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী আটক গাজীপুরে তুলার গুদামে আগুন স্টপেজের দাবিতে ফরিদপুরে প্রথম দিনই ট্রেনের গতিরোধ সন্দেশখালির ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো, বিজেপি নেতার ভিডিওতে তোলপাড় খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় পূর্ব আফ্রিকায় মানবিক সঙ্কটের অবনতির হুমকি স্বরূপ

সকল