০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মি-টু আন্দোলনে নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের মানববন্ধন

যৌন নিপীড়কদের চিহ্নিত করতে সবাইকে মুখ খোলার আহ্বান

-

যৌন নিপীড়নের শিকার এবং যৌন নিপীড়কদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশের সবাইকে মুখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন নারী নেত্রী ও সাংবাদিক নেতারা। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের সামনে বিভিন্ন পেশার নারীদের উদ্যোগে ‘নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াই, নিপীড়কদের ঘৃণা করি; আমরা # মি টু আন্দোলনের প,ে আমরা যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে তারা এই আহ্বান জানান।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের আয়োজনে বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী ও নারী নেত্রী খুশী কবির, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য শেখ মামুনুর রশিদ, সাংবাদিক শাহনাজ শারমিন, শারমিন রিনভী, উদিসা ইসলাম, শেখ মামুন, নাদিয়া শারমিন, ফারহানা মিলি ও যৌন নিপীড়নের শিকার মুশফিকা লাইজুসহ বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ বক্তৃতা করেন। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
খুশী কবির বলেন, যেসব নারী হ্যাশট্যাগ মি-টু আন্দোলনের অংশ হিসেবে যৌন নিপীড়কদের চরিত্র উন্মোচিত করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পুরুষরা নারীকে মানুষ মনে করে না। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে নারীদের তাচ্ছিল্য করা হয়। সময় এসেছে এখন এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলার। তিনি বলেন, অনেকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর তারা বলেছেন, তাদের স্ত্রীরা ঘরে কান্নাকাটি করে, অশান্তি হয়। আমি বলতে চাই, যখন আপনারা আরেক নারীর গায়ে হাত দিয়েছেন তখন স্ত্রীর কথা চিন্তা করেননি কেন? বাংলাদেশের নারীদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আপনারা সবাই মুখ খোলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। নিপীড়ক আর্থিক কিংবা সামাজিক দিক থেকে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, আমরা তাদের স্যালুট জানাই মি টু আন্দোলনের অংশ হিসেবে যারা মুখ খুলেছেন। কারণ তারা সাহস করেছেন সেই সাহস আমি পাচ্ছি না। তিন বছর বয়স থেকে আমরা এ পর্যন্ত নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নির্যাতনের শিকার হয়নি এমন মেয়ে নেই। নারীর ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও লাঞ্ছনা বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যারা মুখ খুলেছেন তারা সাহসী, আগামীতে তাদের পথ ধরে আরো অনেকে এগিয়ে আসবে। যাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে তারা যেসব অফিসে কর্মরত আছেন তাদের কর্তৃপকে বলছি যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, এই ব্যানারের পেছনে নারীরা দাঁড়িয়েছেন। তবে পুরুষরাও যৌন নিপীড়নের শিকার হন। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষরাও পুরুষ দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাদেরও উচিত মি-টু আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও নিপীড়কদের তুলে ধরা। নারীদের হিমবাহর সাথে তুলনা করে তিনি বলেন, হিমবাহর একটি ছোট অংশ পানির ওপর থাকে। ছোট্ট একটি অংশ হাজার হাজার জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে। নারীদের এ আন্দোলনের কারণে আমরা অনেকের রূপ দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও দেশে যৌন নিপীড়নবিরোধী কোনো আইন করা হয়নি, শুধু হাইকোর্টের একটি আদেশ রয়েছে। নারীদের এই যৌন নিপীড়ন বন্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা, নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে ৭০ হাজার লোক ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সুন্দরবনে আগুন : নেভানোর চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আ’লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের মুসলিমদের ঐক্য ও সংহতি বাড়ানোর লক্ষ্যে গাম্বিয়ায় ওআইসির সম্মেলন শুরু ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশী আহত মধুখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকচালক নিহত, আহত হেলপার বরিশালে নথুল্লাবাদ টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ নয়া দিগন্তের শৈলকুপা সংবাদাতার ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯

সকল