০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জেনারেল সোলাইমানি হত্যা : কী বলছে সৌদি আরব?

- সংগৃহীত

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি মারা যান। ওই হামলায় জেনারেল সোলাইমানির সঙ্গে ইরাকের হাশদ আশ-শাবি’র উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ দু’দেশের মোট ১০ জওয়ান ও কমান্ডার শহীদ হন।

এদিকে মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর এ বিষয়ে মুখ খুলেছে ইরানের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব। শুক্রবার বাগদাদ বিমান বন্দরের কাছে মার্কিন বাহিনীর হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে সংযমী হওয়ার আহবান জানিয়েছে সৌদি আরব। এদিকে উত্তেজনা বাড়ে ইরানকে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার অনুরোধ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন।

মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরেই শত্রুভাবাপন্ন ইরান ও সৌদি আরব। মার্কিন বলয়ে থাকা সৌদি আরবকে তাই কাসেম সোলাইমানির হত্যা নিয়ে খুব একটা গলা উঁচু করতে শোনা যায়নি। বরং দেশটির গণমাধ্যমে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আরব নিউজ ঘটনার পর প্রথম পাতায় সোলাইমানির ছবি সম্বলিত একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। যার শিরোনাম ছিল ‘আর কাউকে হত্যা করতে পারবে না সে (সোলাইমানি)।’

কুদস বাহিনীর প্রধান সোলাইমানিকে একজন বিজ্ঞ সমরবিদ হিসেবে ধরা হতো, যিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য বিস্তার ও সৌদি আরবের প্রভাব কমিয়ে আনার কারিগর। আর তাই তাকে খুব একটা ভালো চোখে দেখেনি সৌদি সরকার।

পত্রিকাটি গত বছরের মে মাসে সৌদি আরবে তেলের পাইপে ড্রোন হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' চালানোর জন্যেও বলেছিল।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক উভয়পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান বলে উল্লেখ করেছে এএফপি।

তবে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর এক টুইটে বলেন,‘এ ঘটনায় সৌদি আরব উত্তেজনা কমিয়ে আনার বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছে।’

শান্ত থাকার আহ্বান

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সকল পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স ও চীন।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েন-ইভেস লে ডারিন জানান, তিনি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস ও চীনের একজন উর্ধ্বতন কূটনীতিক ওয়াং ই এর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

‘আমরা একমত হয়েছি যে, ইরাকের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেন তিনি। পাশাপাশি ইরানকে ভিয়েনা চুক্তি বজায় রেখে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি। সূত্র : ডয়চে ভেলে।


আরো সংবাদ



premium cement