২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘চোরের খনি’, ঘুষ ও চাঁদাবাজি

-

বঙ্গবন্ধুর গড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সহসভাপতি ছিলাম। এখন বয়স ৭৪ বছর। চলাফেরা ঠিকমতো করতে পারি না। ’৭১-এর ৭ মার্চের ভাষণে শুনেছিলাম, ‘যার যা আছে, তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো।’ এরপর ঢাকায় তিন নেতার মাজারের সামনের বিরাট কৃষ্ণচূড়াগাছ কুড়াল দিয়ে কেটে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘সবাই পায় সোনার খনি। আমি পেয়েছি চোরের খনি। চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।’ তিনি মদ ও জুয়া বন্ধ করে দেন। তবুও যারা মদ-জুয়া চালু করেছে, তাদের শাস্তি হতে হবে। সরকার আইন করেছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করা হলে ৩০০ টাকা জরিমানা। অথচ আইনের রক্ষক যে বাহিনী, তাদেরও অনেকে রাস্তায় ধূমপান করেন। অধূমপায়ীদের এ কারণে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এসব আইন ভঙ্গকারীকেও শাস্তি দিতে হবে। এ দিকে, আদালতে ঝুলছে হাজার হাজার মামলা। বিচারকের সংখ্যা স্বল্প এবং বিচার বিভাগের বহু কর্মচারী ঘুষখোর।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অসৎ নেতাকর্মীদের ধরা হচ্ছে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং কেবিনেটকে অভিনন্দন। এখানে যুবলীগের দু’জন স্থানীয় নেতা নেশাখোর, যাদের ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে উপজেলাবাসী জিম্মি। উপজেলার ‘সমাজেসেবা’সহ বেশির ভাগ সরকারি দফতর এক ধরনের ‘সমাজ নির্যাতন কেন্দ্রে’ পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়া, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, এতিমদের সাহায্য লাভ, সমাজসেবা সংগঠনের বার্ষিক অনুদান এবং কমিটি অনুমোদন বা অডিট সম্ভব হয় না। এসব অসৎ লোকের ‘অতিরিক্ত’ আয়ের সম্পদ, এমনকি পেনশনও বাজেয়াপ্ত করা উচিত। মহানবী সা: বলেছেন, ‘ঘুষদাতা ও গ্রহীতা, উভয়েই জাহান্নামি।’ ‘চোরের খনি’সহ সর্বপ্রকার শোষণ ও নির্যাতন থেকে বাঁচাতে সরকারপ্রধানের প্রতি আকুল আবেদন জানাই।
সৈয়দ মোহাম্মদ ইছমাইল
সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী


আরো সংবাদ



premium cement

সকল