২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবা-মায়ের সমীপে

-

এক সন্তানের ওপর অন্য সন্তানদের রিজিকের দায়িত্ব চাপিয়ে দেবেন না। এমন করলে পরিবারে অশান্তির আগুন দাউদাউ করে জ্বলবে। সন্তানদের মধ্যে হানাহানি শুরু হবে। একে অন্যের মুখ দেখা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাবে। বাবা-মায়ের সম্পদে সব ভাইয়ের ও বোনের সমান অধিকার। কিন্তু তাদের নিজেদের চেষ্টা, কষ্ট ও পরিশ্রমের দ্বারা অর্জিত সম্পদ তাদের প্রত্যেকের নিজের। বাবা-মায়ের পরিত্যক্ত সম্পদের সাথে প্রত্যেক সন্তানের ব্যক্তিগতভাবে অর্জিত সম্পদকে মেলানো ঠিক হবে না। এক সন্তান পরিশ্রম করে স্বাবলম্বী বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যজন বসে বসে সময় নষ্ট করেছে। তাই বলে বাবা-মায়ের পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে এক সন্তানকে বঞ্চিত করা আর অন্য সন্তানকে সম্পূর্ণ বা বেশির ভাগ সম্পদ দিয়ে দেয়ার অধিকার কারো নেই। এতে আল্লাহর বিধানের লঙ্ঘন হয়, অন্য দিকে অলসকেও পুরস্কৃত করা হয়। আর পরিশ্রমীকে ঠকানো হয়। এমন হলে এক সন্তান পরিশ্রম করবে আর বাকিরা অলস হয়ে সময় কাটাতে পারে। এতে পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবনে দারিদ্র্য, অসহিষ্ণুতা ও হানাহানি নেমে আসবে। একটি কথা আছেÑ ‘ভাইদের রক্তের বাঁধন পৃথক হয় নারীর কারণে’। অর্থাৎ, অনেকক্ষেত্রে স্ত্রীদের কারণে ভাইদের সম্পর্ক নষ্ট হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভাইদের জীবনে স্ত্রী আসার আগেই বৈষম্যমূলক আচরণে ভাইদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরতে পারে। প্রত্যেক সন্তানকে নিজ চেষ্টা ও পরিশ্রমে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ দেয়া উচিত। তারা একজন যেন অন্যজনের আশায় বসে না থাকে। কোনো সন্তানের অর্জিত সম্পদের দোহাই দিয়ে কোনো সন্তানকে পিতামাতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়।
মো: মাকসুদ উল্যাহ্
চিকিৎসক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল


আরো সংবাদ



premium cement