২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাহজালাল বিমানবন্দরে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্ন

- ছবি : সংগৃহীত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল সহ আদেশ দেন।

এছাড়াও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মশা নিধনে কেন জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবেনা, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদী বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বেসরকারী বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।

পরে আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমি আমার দাদিকে নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই এবং একটি টিকেট কেটে দর্শনার্থী হিসেবে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করি। ওইদিন রাত ১০টার সময় সেখানে অবস্থানকালে অনেক দেশি-বিদেশি বিমানযাত্রীকে মশার দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আমাদের দেশের সুনামকে প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ এরপরও কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় বিমানবন্দরের ভেতরে মশার তীব্রতা বেড়েই চলেছে।

তাই নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতর মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়। কিন্তু সে নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ৩ মার্চ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement