খুন হতে খুনি নিয়োগ!

নাটক সিনেমায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবেও এমনটা ঘটতে পারে তা জানা গেল ভারতে এক হত্যার ঘটনায়। যা স্বীকার করেছে খোদ খুনিরাই। রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা বলবীরের ধারের কারবার। এক সময় ঋণের দায়ে নয়, ঋণ অনাদায়ে জীবন শেষ করার কথা ভাবলেন তিনি। ২০ লাখ টাকা ধার দিয়েছেন নানা জনকে। ছয় মাসে কেউ এক টাকাও ফেরত দেয়নি। তাই বলবীর ঠিক করে নেন করণীয়। মাসখানেক আগে বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকার একটা জীবন বীমা করালেন। প্রথম মাসের প্রিমিয়ামও জমা দিলেন। বাড়িতে মা বাবা স্ত্রী সন্তান আছেন। বলবীর মারা গেলে ওই ৫০ লাখ টাকায় জীবন কাটাতে পারবেন তারা, এই ছিল ভাবনা।
ওই ঘটনায় আটক রাজবীর সিংহ আর সুনীল যাদবকে জেরা করে চমকে উঠেছিল পুলিশ। বলবীর খারোল (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। বলবীরের কল রেকর্ড আর সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই তাদের পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশের কাছে তাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের শিকার বলবীরই তাদের নিয়োগ করেছিল নিজেকে খুন করানোর জন্য! সুনীলরাই পুলিশকে জানিয়েছে, বলবীর প্রথমে চেয়েছিলেন তার মৃত্যু হোক পরিকল্পিত দুর্ঘটনায়। কিন্তু যদি শেষমেশ বেঁচে যান কোনো মতে? এই আশঙ্কা তাকে ফিরিয়ে আনল। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিজেকে একেবারে শেষ করে দেয়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেললেন তিনি। ডাক পড়ল রাজবীর আর সুনীলের। রফা হলো, কাজটা হলে ৮০ হাজার টাকা পাবে ওরা। ২ সেপ্টেম্বর ওদের সাথে দেখা করে বলবীর প্রথমে ১০ হাজার টাকা আগাম দিলেন। তারপর তিনজন মাংরোপ এলাকার একটা ফাঁকা জায়গায় চলে গেলেন। বলবীর বলে রাখলেন, বাকি টাকাটা তার পকেটে আছে। তাকে খুন করে যেন টাকাটা ওরা নিয়ে নেয়। নির্দেশ মতোই রাজবীর তার হাত-পা বেঁধে ফেলল। সুনীল শ্বাসরোধ করে বাকি কাজটুকু সেরে দিলো। গত সোমবার ধরা পড়েছে সুনীলরা। মঙ্গলবার পুলিশ সুপার হরেন্দ্র মাহাওয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন এই অত্যাশ্চর্য ব্যাপার। ইন্টারনেট।