০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাখাইনে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে না জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো

-

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা দিতে মিয়ানমার সরকারের সাথে চুক্তি করলেও উত্তর রাখাইনে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে না জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন তহবিল ইউএনডিপি। ২০১৮ সালের পর জাতিসঙ্ঘ সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ঢুকতে পারছে না।
ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষাবিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, রাখাইন সমাজে রোহিঙ্গাদের পুনঃত্রকত্রীকরণ খুব জটিল একটি কাজ। এখনো রাজ্যটিতে সশস্ত্র সঙ্ঘাত চলছে। উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে প্রবেশাধিকার পেতে মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা চলছে।
ভলকার তুর্ক বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সফরকালে রোহিঙ্গা সঙ্কট সুরাহার উপায় খুঁজে বের করতে তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া তিনি কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা সিদ্ধান্তের ওপর গুরুত্বারোপ করে ভলকার তুর্ক বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সাথে জাতিসঙ্ঘের গঠনমূলক আলোচনা চলছে। তবে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জীবিকার ব্যবস্থা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে দক্ষতা ও শিক্ষার বিস্তার করতে হবে, যাতে তারা মিয়ানমার ফিরে গিয়ে সেখানকার সমাজে অবদান রাখতে পারে।
শরণার্থী প্রত্যাবাসনে বিশ্বের কোথাও জাতিসঙ্ঘের সফলতার কাহিনী রয়েছে কিনা- প্রশ্ন করা হলে ভলকার তুর্ক বলেন, আমরা মানবিক সংস্থা, রাজনৈতিক না। সঙ্কটের সুরাহা হতে হবে রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রকে এ জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। আফগানিস্তানসহ বিশ্বের অনেক স্থানেই সফল প্রত্যাবাসনের নজির রয়েছে বলে জানা তিনি।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসঙ্ঘের কোনো প্রস্তুতি রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকারের সাথে এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এ জন্য আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের চলাফেরার স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। আর এ লক্ষ্যে রাখাইন কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। গত জুনে মিয়ানমার সরকারের সাথে জাতিসঙ্ঘের চুক্তিতেও এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ, বিশেষ করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের মানুষ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় প্রথম এগিয়ে এসেছিল। স্থানীয়দের মধ্যে মানবিক চেতনা ও উদারতা এখনো প্রচণ্ডভাবেই রয়েছে। তবে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে তাদের জীবনযাত্রায় যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তাকে স্বীকৃতি দিয়ে যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ টেকসইভাবে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখন আগের চেয়ে নিজেদের অনেক বেশি নিরাপদ মনে করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ভলকার তুর্ক বলেন, উদ্বাস্তুদের জন্য সংগ্রহ করা তহবিল জাতিসঙ্ঘ সংস্থাগুলো কঠোর নিয়ম-কানুন মেনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে ব্যয় করছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়মের কোনো অবকাশ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল