ভোটের পাশাপাশি আন্দোলনের মাঠেও থাকছে বাম জোট
- সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
- ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের পাশাপাশি আন্দোলনের মাঠেও থাকছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিলেও কোনো ধরনের অসঙ্গতি দেখলে পুরো নির্বাচন বর্জনেও প্রস্তুত রয়েছে এ জোটটি।
জানা গেছে, আটটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত এ জোট নির্বাচনে অংশ নেয়াকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছে। জোটের বাইরেও প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরাও নির্বাচনকে একটি কার্যকর আন্দোলন হিসেবে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জোট সমর্থিত এসব বুদ্ধিজীবী ভোটকে যেমন আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন, তেমনি মাঠে যা যা করা দরকার তা যেন করা হয়। জানা গেছে, ভোট ও আন্দোলনকে এক সাথে নিয়ে এগোবে এ জোট। এমনকি এ দাবিতে মাঠে যাদের পাবে, তাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনের পাশাপাশি একমঞ্চেও কাজ করতে পারে। এমনই আভাস মিলেছে জোটের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার সাথে কথা বলে। যদিও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সাথে না যাওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়া হয় অতীতে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সাথে নির্বাচন নিয়ে সংলাপে জোটের অনেকের মধ্যে বদ্ধমূল হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায়ে রাজপথ ছাড়া যাবে না। একই সাথে ভোটকেও হাতছাড়া করা যাবে না। জানা গেছে, ওই সংলাপে তারা তাদের দাবি এবং বক্তব্যের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ন্যূনতম সহযোগিতা বা আশ্বাস লক্ষ করেননি। আর এ জন্য তাদের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে, নির্বাচনকে আন্দোলন হিসেবে নিয়ে রাজপথে প্রকম্পিত করার বিকল্প নেই গণতন্ত্র উদ্ধারে।
জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক নয়া দিগন্তের প্রতিবেদককে জানান, কয়েকটি বিশেষ আসনে তারা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। শরিক দলের কেউ স্বতন্ত্র দাঁড়ালে তাকেও জোটগতভাবে সমর্থন দেয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি জানান জোটের শরিকদের মধ্যে তিনটি দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া হবে। এসব শরিক নিজ নিজ প্রতীকেও নির্বাচন করতে পারবেন। তবে সমর্থন থাকবে পুরো জোটের নেতাকর্মীদের। তিনি জানান, এসব বিষয়ে জোটের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা আজ সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান। আটটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের চলতি বছরের ১৮ জুলাই আত্মপ্রকাশ ঘটে। জোটের শরিক দলগুলো হচ্ছেÑ সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা