২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জামিন নামঞ্জুর, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

বাঘারপাড়া প্রেসক্লাব সভাপতির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন। (ইনসেটে) ইকবাল কবীর। ছবি - নয়া দিগন্ত।

যশোরের বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিন্তের বাঘারপাড়া প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক স্পদন পত্রিকার প্রতিনিধি ইকবাল কবীরকে আটক ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।
বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বুধবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে যশোর ও বাঘারপাড়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক অংশ নেন।  এদিকে সাংবাদিক ইকবালের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক ইকবাল কবীরের বিরুদ্ধে থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে চার পুলিশকে মারপিট, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। পুলিশ সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে; অথচ তাদের দাবি, তারা মার খেয়েছেন। এমন হাস্যকর ঘটনা আর দ্বিতীয়টি হয় না।

তারা প্রহসনমূলক ও ষড়যন্ত্রের মামলা প্রত্যাহার করে সাংবাদিক ইকবালের মুক্তির দাবি জানান। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধনে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাসসহ সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে বুধববার বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানি শেষে সাংবাদিক ইকবাল কবীরের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল। অন্যপক্ষে, ইকবালকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন তার আইনজীবী। গত সোমবার সকালে বাঘারপাড়া থানা চত্তরে পুলিশের একটি সভা চলাকালে তাকে আটক করা হয়।

 

যশোর প্রেসক্লাবের বিবৃতি

বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল কবীরকে পুলিশ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রেসক্লাব যশোর। এক বিবৃতিতে প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান বলেছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারণেই ইকবাল কবির আক্রোশের শিকার হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে যাদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় তাদেরকেই সাক্ষী করা হয়েছে।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ইকবাল কবীরের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি.শর্ত মুক্তি দাবি করে বলেছেন, তা না হলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।


আরো সংবাদ



premium cement