২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এবার কোরবানি উপযোগী গরু পালনের সংখ্যা কমে গেছে

এবার কোরবানী উপযোগী গরু পালনের সংখ্যা কমে গেছে - ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন পশু হাটে গরু কেনাবেচা জমে উঠেছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার খামারী ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজন। ব্যাপারী ও সাধারন ক্রেতারা বিভিন্ন হাটে হাটে যাচ্ছেন গরু কিনতে। আবার অনেকেই সরাসরি খামারীদের বাড়িতে বাড়িতে পশু কেনার জন্য ছুটছেন।

কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খামারীরা। কয়েক হাজার মৌসুমি গরু পালনকারীসহ খামারীরা গরু মোটাতাজা করছেন। চাকুরী-ব্যবসাসহ নানান শ্রেনীর মানুষ তাদের নিজ নিজ পেশার পাশাপাশি ২-১ টি গরু পালন করছেন। এতে বছর শেষে মোটা অংকের টাকা আয় করছেন।

তবে গত বছরের তুলনায় এবছর গরু পালনের সংখ্যা কমে গেছে। গত বছর কোরবানীর ঈদের পর গরু দাম অনেক বেশি ছিল। সেই সময় কৃষকরা চড়া মূল্যে গরু কিনে পালন শুরু করে। তবে দুই তিন মাস পর গরুর দাম তর তর কমে যায়। ক্ষুদ্র গরু পালনকারীরা হতাশ হয়ে পড়ে। তখন অনেকেই বেশি লোকসান এড়াতে গরু বিক্রি করে দেয়। সেই কারণে কোরবানী উপযোগী গরু চাষ অনেকে কম হয়েছে। আর এ সুযোগে গরুর দাম হাকাচ্ছে অনেক বেশি চাচ্ছেন খামারীরা।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ, গোকুলখালি, শিয়ালমারী পশু হাটে গরু-ছাগল বেচাকেনা জমতে শরু করেছে। গত বছরের তুলনায় সব গরু ছাগলের দাম তুলনামুলক বেশি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে মণ প্রতি গরুর দাম পড়ছে ২০-২৪ হাজার আর ছাগলের দাম পড়ছে ৬৫০-৭৫০ কেজি দরে ।

চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় কোরবানি ঈদের জন্য বাণিজ্যিক খামারসহ পারিবারিকভাবে পালন করা হয়েছে ৪৯ হাজার গরু ও ১ লাখ ৫০ হাজার ছাগল । গত বছর পালন করা হয়েছিল ৫৬ হাজার গরু ও ১ লাখ ৭৩ হাজার ছাগল। যা গত বছরের তুলনায় ৭ হাজার পিচ গরু এবং ২৩ হাজার পিচ ছাগল কম পালন করা করেছে। তবে চুয়াডাঙ্গায় কোরবানী উপযোগী গরু প্রয়োজন ৩৫ হাজার ও ছাগল ১ লাখ ১০ হাজার। জেলায় দেশী গরুর পাশাপাশি শাহীওয়াল, গীর, ব্রাহামা, মুন্ডি ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু এবং ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালন করা হয়। এ সকল পশু স্থানীয় হাট ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন পশু হাটে বিক্রি করা হবে। গরু পালন লাভবান হওয়ায় বাণিজ্যিক খামারিদের পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষ স্বচ্ছলতা এনেছেন। দিন মজুর, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, ছাত্র ও গৃহিনীরা নিজ কাজের পাশাপাশি প্রতিবছরই ২-১ টি গরু পালন করছেন। সেই লাভ থেকে মিটাচ্ছেন বাড়তি চাহিদা।

একাধিক গরু পালনকারীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় সব ধরনের গরুর খাবারের দাম বেড়ে গেছে। সেই কারনে গরু পালন করে খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই এই বছর গরু মোটাতাজা করণ অনেক কম হয়েছে। তার উপর এ বছর যদি ভারত থেকে গরু আমদানী করা হয়, তাহলে খামারীরা লোকসান গুনবে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, এ এইচ এম শামিমুজ্জামান বলেন, প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা গরু পালন করছে। কোরবানী উপযুক্ত যে পরিমান গরু রয়েছে তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে। গরু মোটা তাজা করন করতে নিষিদ্ধ ভ্যাকসিন যাতে প্রয়োগ করতে না করে সেদিকে দৃষ্টি রাখা হয়েছে। ঔষধ ব্যবসায়ী ও খামারিদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড ‘মুক্ত সাংবাদিকতা চরম সঙ্কটে’ ‘রাফা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা’ ৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের

সকল