২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পল স্মলি যেভাবে পাল্টে দিলেন মহিলা দলকে

পল স্মলি যেভাবে পাল্টে দিলেন মহিলা দলকে - ছবি : সংগৃহীত

যেখানে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল সেখানেই পল স্মলি। একসূত্রে গাঁথা হয়ে গেছে বাফুফের এই টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটিজিক্যাল ডিরেক্টর ও এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ফুটবল ইভেন্টেটি। তবে বিষয়টি এমন নয় যে এই ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানের ছোঁয়াতেই বদলে গেছে দেশের মহিলা ফুটবল। ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকায় জর্ডানের বিপক্ষে জয়, ২০১৬ সালের আগস্টে ইরান, চাইনিজ তাইপে, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তানে হারিয়ে লাল সবুজ মেয়েদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবই তার আগমনের আগে। দু’টিই ছিল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের বাছাই পর্ব। তবে তিনি আসার পর অব্যহত রয়েছে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের সাফল্যের ধারা।

পল স্মলির সাথে বাফুফের দুই বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর ফের তা নবায়ন হয়েছে। ২০১৬ এর শেষ দিকে তার নিয়োগ হয়েছিল। এটা সত্য বাংলাদেশ পুরুষ দলের চেয়ে মহিলা দলকে সময় বেশি দেন তিনি। মহিলা দলের কোনো বিদেশ সফরেই বাদ যান না তিনি। সাবিনা- কৃষ্ণাদের এই পর্যারে আসার নেপথ্য তিনি। দু'জনকে ভারতের লিগে খেলার রাস্তাটা তৈরি হওয়াটা তার মাধ্যমেই। কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের কোচিংয়েই এতো দূর এসেছে দলটি। বাকি ঘষামাজা করেছেন এই পল স্মলি। গত সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে বাংলাদেশ দলের শিরোপা জয়, হংকংয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সর্বশেষ সিনিয়র মহিলা সাফে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলের ফাইনালে খেলার পেছনেও রয়েছে তার ভূমিকা। এখন তিনি ভুটানে থেকে আরো ক্ষুরধার করছেন দলকে। তবে তার অনেক পরিকল্পনাই বাফুফের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না টাকার অভাবে। তবে মহিলা ফুটবল তাদের ক্যাম্প ঠিকই অব্যহত রেখেছে।

এই মহিলা দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী তিনি। জানান, যে ধারায় মহিলা দল দলছে তা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে বয়স ভিত্তিক বিশ্বকাপে খেলা সম্ভব বাংলাদেশের পক্ষে। তবে এই জন্য সাবিনা, স্বপ্না, মারিয়া, মনিকা, আঁখিদের বিদেশে লিগ খেলা উচিত।

পল স্মলির মতে, বাংলদেশে অবশ্যই মহিলা লিগ ফের চালু করতে হবে। তা হতে হবে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে। জাতীয় দলের ফুটবলাদের এই লিগের বাইরে রাখতে হবে। তার যুক্তি, লিগে যে সব ফুটবলার খেলবে তাদের চেয়ে মানের দিক থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। লিগে এই ফুটবলাররা অংশ নিলে একেবারেই এক পেশে হয়ে যাবে তা।

মহিলা দলে পল স্মলির অবদানের কথা উল্লেখ করে অনূর্ধ্ব -১৫ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বললেন, আগে আমাদের রানিং ও দমে সমস্যা হতো। পল স্মলি আসার পর তিনি বেশ কিছু টেকনিক শিখিয়েছেন। ফলে এখন রানিং, চেজিংয়ে কোনো সমস্যা হয় না।

পল স্মলি উল্লেখ করলেন, একজন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে আমার কাজ হলো পুরুষ ও মহিলা জাতীয় দলকে তত্ত্বাবধান করা। ফুটবলাদের টেনিক্যালি এবং ফিজিক্যালি ফিট করে তোলা। তাদেরকে নতুন দর্শন দেয়া। জানান , ‘ঈদের পর নিলফামারী যাবো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ পুরুষ দলের ক্যাম্পে।’ উল্লেখ্য তার সময়ে পুরুষ দল কোনো শিরোপা জিততে পারেনি।

সেপ্টেম্বরের সিনিয়র পুরুষ সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা সম্পর্কে তার জবাব, আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসর হবে। জাতীয় দলকে সাবেক কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড যে ভালো পর্যায়ে রেখে গিয়েছেন এখন দলকে সে ধারাতেই রেখেছেন নতুন কোচ জিমি ডে। তবে জাতীয় দলের ফুটবলাদের সম্পর্কে বলেন, সবার আগে পেশাদার লিগের ক্লাবদের অবকাঠামো উন্নত করতে হবে। এই ফুটবলারাতো এসব ক্লাবেই খেলে।


আরো সংবাদ



premium cement