১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইনিংস জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৬৫ ও ৫ ওভারে ৯/২, বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৫৬০/৬ ডি. (১৫৪ ওভার)
মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুলের শতরানের ওপর ভর করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ : নয়া দিগন্ত -

এই টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ ৬ টেস্টের মধ্যে ৫টিতে ইনিংস পরাজয়ে টাইগারদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই টেস্টটিই পারে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে। সে ব্রত নিয়েই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই জবাব দিয়েছে মুমিনুল বাহিনী। বড় জুটি গড়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখিয়ে টাইগাররা ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে ২৯৫ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে মাত্র ৯ রানে দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। দুটি উইকেটই নিয়েছেন নাঈম হাসান। কোনো অঘটন না ঘটলে আজই হয়ে যেতে পারে টেস্টের ফলাফল। বলা যায়, ইনিংস জয়ের দ্বারপ্রান্তেই রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২৫০ রান করেছে ৭৬.২ ওভারে, ৩০০ করেছে ৮৪.৪ ওভারে, ৩৫০ রান এসেছে ৯৮.৪ ওভারে, ৪০০ রান এসেছে ১১২.৬ ওভারে, ৪৫০ রান করেছে ১৩১.৫ ওভারে, ৫০০ রান এসেছে ১৪৪.২ ওভারে এবং ৫৫০ রান করে ১৫২.১ ওভারে। শুরুর দিকে টেস্ট মেজাজে রান এলেও শেষের দিকে ওয়ানডে স্টাইলেই ব্যাটিং করেছেন মুশফিক ও লিটন।
প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই জুটি গড়ার দিকে মন দিয়েছেন। তামিম ও শান্ত ৭৮ রানের জুটি গড়েছেন, মুমিনুল ও শান্ত ৭৬ রানের, মুশফিক ও মুমিনুল ২২২ রানের, মুশফিক ও মিঠুন ২৭ রানের, মুশফিক ও লিটন ১১১ রানে এবং সর্বশেষ মুশফিক ও তাইজুল ২৪ রানের জুটি গড়েন।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে। মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে আর মুশফিক ৩২ রানে। সেখান থেকে শুরু করে গতকাল তৃতীয় দিনে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হন মুমিনুল ও মুশফিক।
জিম্বাবুয়ের সামনে হিমালয়সম বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এই জুটি। মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিমের ধৈর্যে কিছুতেই বাঁধ ভাঙতে পারেনি সফরকারী বোলাররা। ৬০.৪ ওভারে করা ২২২ রানের এই জুটিটি শেষতক ভাঙে মুমিনুলের আউটে। এনলুভুকে তুলে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৩৪ বলে ১৩২ রানের ঝকঝকে ইনিংসটি ছিল ১৪ বাউন্ডারিতে সাজানো।
এরপর মিঠুন যথোপযুক্ত সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিককে। ১৭ রান করে এনলুভুর দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। তবে মুশফিকের ধৈর্যে মোটেও চিড় ধরাতে পারেননি জিম্বাবুয়ের বোলিং স্কোয়াড। চেনা ঢঙয়েই সুন্দরমতো এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। মুশফিককে সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি নিজের দিকটাও খেয়াল রাখছিলেন। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি (৫৩) করার পরই যেন তর সইছিল না তার। সিকান্দার রাজার বলে তিনি চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন প্যাভিলিয়নে। ৯৫ বলে ৫ চারে সাজান ইনিংসটি। এরপর তাইজুল সঙ্গ দেন মুশফিককে। মুশফিকের ডাবল হওয়ার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement