৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সিপিডির বক্তব্য অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য : তথ্যমন্ত্রী

-

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে কথা বলেছে তা অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি গত ১০ বছর ধরে সরকারের দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছে, যা তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, এটিও তারই অংশ।’
তথ্যমন্ত্রী গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সময়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গত ১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বাজেটের আগে একবার দোষ খোঁজে, বাজেটের পরে একবার খোঁজে, বছরান্তে একবার খোঁজে, সব সময় দোষ খুঁজে বেড়ায়। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগেÑ সিপিডির কাজ কি শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো? এই যে অগ্রগতি গত ১০ বছরে হয়েছে দুঃখজনক হলেও সত্য এটি তারা দেখেন না। এটি তাদের দৈনতা এবং ব্যর্থতা।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় তিন গুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে; আগে ৬০০ ডলার ছিল, যা এখন ২০০০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।’
তিনি বলেন, আজ সমগ্র পৃথিবী দেখছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রশংসা করছে। গত ১০০ দিনে সরকার অনেকগুলো কাজ করেছে বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। অথচ সিপিডি এগুলো দেখতে পাচ্ছে না। এটি তাদের ব্যর্থতা। তবে আমরা আশা করব সিপিডি তাদের ব্যর্থতা কাটিয়ে সরকার যে অগ্রগতি ও উন্নয়ন করছে সেটির দিকে দৃষ্টি দেবে।
বিএনপির সংসদে যাওয়া নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও সংসদে যাচ্ছে না। একটি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে ধরনের উদ্যোগ ও আয়োজনের দরকার ছিল বিএনপির তা ছিল না। তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করত, নমিনেশন বাণিজ্য যদি না হতো তারা আরো বেশি আসন পেতে পারত।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচিত হওয়ার পর যে সংসদে যাবে না বলছে, শপথ নেবে না বলছে, এটি জনগণের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। এটি রাষ্ট্রের প্রতিও অবজ্ঞা প্রকাশ করা।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মহাপরিকল্পনার এটি একটি অংশ। গত নির্বাচনের তারা অংশগ্রহণ করেছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। আর এখন যে সংসদে তারা শপথ গ্রহণ করবে না বলছে এটিও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, গণতন্ত্রের যাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে না, গণতন্ত্রের যে অব্যাহত অভিযাত্রা এটি বজায় থাকবে। বরং বিএনপি নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিটিভির দর্শক সবচেয়ে বেশি
সংসদ প্রতিবেদক জানান, রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের মান নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখনো দর্শকসংখ্যা ‘ভিউয়ার’ বিটিভির ই বেশি। সেটি গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে বিটিভির সবচেয়ে বেশি।
গতকাল বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দর্শকসংখ্যা, ভিউয়ার বিটিভিরই সবচেয়ে বেশি। বিটিভির অনুষ্ঠানের মান এবং খবর পাঠের মানোন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিটিভির অনুষ্ঠানের মান ঠিক রাখার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা ফরমায়েশি অনুষ্ঠান। বিভিন্ন জন ফরমায়েশি অনুষ্ঠান করার জন্য নানা দেনদরবার তদবির করে থাকেন। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ফরমায়েশি অনুষ্ঠান করা বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিটিভির অনুষ্ঠানের মানোন্নয়নের জন্য আরো অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিছুদিন পরই দেখতে পাবেন বিটিভির অনুষ্ঠানের মান খবরের মান অনেক উন্নত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ৩১ তলাবিশিষ্ট জাতীয় প্রেস ক্লাব কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ১০ তলাবিশিষ্ট প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় প্রেস ক্লাব নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারের থেকে সহায়তা করা হয়েছে। তবে কোন জেলায় যখন প্রেস ক্লাব নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় সরকারে কাছে সহায়তা চাইলে সহায়তা করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement