২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যৌথভাবে কাজ করতে চায় জাতিসঙ্ঘ : ইয়াংহি লি

-

মিয়ানমারের মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে জাতিসঙ্ঘ।
বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফরের শুরুতে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ইয়াংহি লি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখতে কাল তিনি কক্সবাজার যাচ্ছেন বলে জানান।
রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার কঠোর সমালোচনা করায় ইয়াংহি লিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে মিয়ানমার সরকার। রাখাইন সফরের বিকল্প হিসেবে তিনি কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলবেন। এরপর জাতিসঙ্ঘে প্রতিবেদন দেবেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনে সমস্যা। এ সমস্যার বিভিন্ন দিক নিয়ে জাতিসঙ্ঘের র্যাপোর্টিয়ারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তিনি অনেকদিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করছেন। আমরা দ্রুত এ ইস্যুর সমাধান চাই।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি দীর্ঘায়িত হলে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর সমস্যা হবে। ভারত ও চীনও এর বাইরে থাকবে না। এই ইস্যু সমাধানে বাংলাদেশ আরো কিছু রাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা চায়।
প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জাপানের রাজা : জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াশো ইজুমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বাংলায় বলেন, ‘আমি নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফলতা কামনা করছি। জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো ভালো হবে বলে আমি আশা করি।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কঠিন সমস্যার সুরাহা হবে বলে আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নেতাদের রাখাইন সফরে নিয়ে যাওয়ার জাপানের দেয়া প্রস্তাব নিয়ে কূটনৈতিকভাবে কাজ চলছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। এটা বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব না। এজন্য বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা দিয়ে আসছে দেশটি। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বড় মাপের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটি একটি রোডম্যাপ দিয়েছে।
জাপানের রাজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, এ ব্যাপারে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। পরে আলোচনা করে সফরের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে জাপানের বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে তারা নিজেদের প্রভাবকে কাজে লাগতে পারে। এ জন্য রাষ্ট্রদূতের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement