১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


রুহিত শর্মা ও ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে পরাস্ত পাকিস্তান

-

ফাইনালে কে উঠবে এর জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতেই হবে। তবে ভারত ইতোমধ্যে ওই পথে এগিয়ে। সুপার ফোরের দুই ম্যাচে জয় নিয়ে ফাইনালের পথে তারা। দুই সাক্ষাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে যেভাবে জব্দ করেছে তারা, এর কৃতিত্ব তারা নিতেই পারে। শিরোপা না হোক, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোরও অন্যরকম একটা আমেজ। সে আমেজটাই এখন উপভোগ করছেন রুহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। গতকাল সুপার ফোরের ম্যাচেও পাকিস্তানকে এক রকম উড়িয়ে দিয়েছে তারা। প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে পাক ব্যাটসম্যানরা ধুঁকছিল ভারতের বোলারদের বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত ২৩৭ রান করেছিল নি®প্রাণ এক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করে। জবাবে খেলতে নেমে ভারত এক উইকেট হারিয়েই পৌঁছায় লক্ষ্যে। দুই ওপেনার শেখর ধাওয়ান ও রুহিত শর্মা সেঞ্চুরি করেন। শর্মা ১১৯ বলে ১১১ করে অপরাজিত ছিলেন। ধাওয়ান অবশ্য ১১৪ করে আউট হয়ে যান। ধাওয়ানের ইনিংসে রয়েছে ২টি ছক্কা ও ১৬টি চারের মার। আর রুহিত শর্মার ইনিংসে আছে চার ছক্কা ও সাত চারের মার। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পাকিস্তানের বোলিং লাইনের যে সুনাম ছিল এ ম্যাচে তা কিছুটা হলেও ক্ষুণœ হয়েছে। মোহাম্মদ আমির, হাসান আলিদের নি®প্রাণ ঠেকেছে। বল হাতে মোটেও প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি। অনেকটা ফ্রন্টফুটে থেকেই ভারত এ ম্যাচে ৩৯.৩ ওভারে পৌঁছে যায় জয়ের মার্কে। শর্মার সাথে জয়ের মুহূর্তে ছিল আমবাতি রাইডু। এর আগে দুবাইয়ের এ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে সেভাবে চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করতে পারেনি পাকিস্তান। টপ অর্ডারের ব্যর্থতাতেই ওই পর্যায়ে যেতে সক্ষম হয়নি তারা। দলীয় স্কোর সম্মানজনক অবস্থায় নিয়ে যান শোয়েব মালিক, শরফরাজ ও আসিফ আলি। শোয়েব খেলেন ৭৮ রানের এক মূল্যবান ইনিংস। ৯০ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ওই রান করেছিলেন শোয়েব। শরফরাজ করেছিলেন ৪৪। এ ছাড়া আসিফ করেছিলেন ৩০। এতে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর গিয়ে পৌঁছায় ২৩৭/৭ এ। এ ছাড়া টপ অর্ডারে ফখর জামান করেছিলেন ৩১। ভারতের বোলারদের মধ্যে বুমরাহ, চাহাল ও যাদব প্রত্যেকে লাভ করেন দু’টি করে উইকেট।
পাকিস্তান : ২৩৭/৭ (৫০ ওভার), ভারত : ২৩৮/১ (৩৯.১ ওভার)
ফল : ভারত ৯ উইকেটে জয়ী


আরো সংবাদ



premium cement

সকল