২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিরোপা নিয়েই ফিরতে চায় মারিয়ারা

-

সাম্প্রতিক সময়ের বয়সভিত্তিক মহিলা ফুটবলের পরিসংখ্যান। এতে চোখ বুলালে গর্বে বুক ভরে যাবে বাংলাদেশীদের। ভারতের সাথে গত চার বছরে জয়ের পাল্লা ভারী লাল-সবুজদেরই। সর্বশেষ চার মোকাবেলার প্রত্যেকটিতেই শেষ হাসি বাংলাদেশের। তা সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ এবং এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল ফুটবলে। এই ফলাফল এবং এবার থিম্পুর মাঠের পারফরম্যান্স আজকের ফাইনালে এগিয়ে রাখছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের দলকে। রেকর্ড বুকের চিত্র, এর সাথে গত তিন ম্যাচে ময়দানি লড়াই, আজ সেই ধারা অব্যাহত থাকলে আবারো সাফের শিরোপায় হাত ছোঁয়ানো হবে মারিয়া মান্ডাদের। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবলের এই ট্রফি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই আজ ভারতের মুখোমুখি গত টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে এই শিরেপা নির্ধারণী ফাইনাল। এর আগে বিকেল ৪টায় তৃতীয় স্থানের জন্য লড়বে সেমিতে হারা দুই দল স্বাগতিক ভুটান এবং নেপাল। আজ ভারতকে হারাতে পারলে মহিলা ফুটবলে আসবে পঞ্চম শিরোপা। তাদের দুই ট্রফি জয় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল ফুটবলে। এই সাফেরই গতবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। এ ছাড়া হংকংয়ের জকি কাপেরও সেরা দল বাংলাদেশ।
এ যেন গতবার ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালেরই পুনারবৃত্তি। সেবারও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে। তাতে বড় শামসুন্নাহারের গোলে ১-০তে জিতে মহিলা সাফে প্রথম শিরোপা লাল-সবুজদের। সেবার গ্রুপ পর্বে অবশ্য ভারতের হার হয়েছিল ৩-০তে। ২০১৬ সালে তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব ১৪ রিজিওনাল ফুটবলে বাংলাদেশের কাছে গ্রুপ পর্বে ৩-১ এবং ফাইনালে ৪-০তে পরাজয় বরণ ভারতীয় মেয়েদের। মহিলাদের বয়সভিত্তিক আসরে বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারতের কাছে হেরেছিল ২০১৪তে ঢাকায়। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই পর্বে। ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল ভারত। বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের ঘুরে দাঁড়ানোর সূত্রপাত সেই আসর থেকেই। যেখানে প্রথম ম্যাচে ছোটন বাহিনী ১-০তে হারায় শক্তিশালী জর্ডানকে।
রেকর্ড, পরিসংখ্যান বা চলমান মাঠের পারফরম্যান্স যত কিছুই পক্ষে থাকুক না কেন, আজ ফাইনালে ভারতকে দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। আজ তাদেরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিশন। এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা সাফে এখনো কোনো গোল খায়নি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে তাদের দেয়া গোলের সংখ্যা ২২টি। বিপরীতে ভারত তিন ম্যাচে ১৫ গোল দিয়ে হজম করেছে ১ গোল। বাংলাদেশ কোচ ছোটন ভারতীয় দলকে সম্মান করেই বলেন, ‘আমরা ভুটান এসেছি শিরোপা ধরে রাখার জন্য। আজ ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরতে চাই। এ জন্য আজ আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে হবে।’ গতবারের ভারতীয় দলের সাথে এবারের দলের পার্থক্য সম্পর্কে তার উত্তর, গতবার আরো পরিপক্ব খেলোয়াড় ছিল তাদের দলে। তবে আমরা তাদের আজকের ফাইনালে দুর্বল ভাবছি না। যোগ্য দল হিসেবেই তারা এই পর্যায়ে এসেছে।’ অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার মতে, আমরা এবার প্রথম তিন খেলায় জয় পেয়েছি। আজো জিততে চাই। বাংলাদেশের টার্গেট একটাইÑ ট্রফি জয়।’ তিনি যোগ করেন, ‘সব দলই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। ভারতও চাইবে। তবে আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে তাদেরকে হারাবো। সে আত্মবিশাস রয়েছে আমাদের।’ লাল-সুবজদের এই মিডফিল্ডার উল্লেখ করলেন, আমরা ভারতীয় দলে মিডফিল্ড ও রক্ষণভাগে কিছু দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছি। ওই দুর্বলতাই আজ পুঁজি করব।
এ দিকে ভারতের কোচ ফিরমিন ডি সুজাও আজকের ফাইনালে এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশকে। তার মতে, বাংলাদেশ সব দিকেই ব্যালান্সড দল। বেশ শক্তিশালী দল তারা। তবে আমরা তাদের ছেড়ে কথা বলব না। আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল হবে।


আরো সংবাদ



premium cement