মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করার মধ্য দিয়ে বিশে^র মধ্যে বাংলা গানকে পরিচিত করে তোলার ক্ষেত্রে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বশির আহমেদ। মরহুম বরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পীর সুযোগ্য দুই উত্তরসূরি সঙ্গীতশিল্পী হোমায়রা বশির ও রাজা বশিরের উদ্যোগে গেল ১৭ নভেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘বশির আহমেদ সম্মাননা ২০১৯’ প্রদান ও বশির আহমেদের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন। বশির আহমেদের গান, তার প্রাপ্তি ও সঙ্গীতে তার সাধনাকে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই তার দুই সন্তান হোমায়রা বশির ও রাজা বশির ‘বশির আহমেদ সম্মাননা ২০১৯’ এই বছর থেকে চালু করেছেন। যথারীতি সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অধরা জাহানের উপস্থাপনায় প্রথমেই কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে নানান পর্যায়ে বশির আহমেদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সঙ্গীত পরিচালক আজাদ রহমান, সঙ্গীতশিল্পী খুরশীদ আলম, সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান, বশির আহমেদের শিষ্য বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী কনকচাঁপাসহ আরো অনেকে। বক্তারা তাদের আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বশির আহমেদের অবদান সম্পর্কে নিখুঁতভাবে সবার উদ্দেশে বিস্তারিত তুলে ধরেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা আগ্রহ নিয়ে তা শোনেন। আলোচনার একপর্যায়ে রাজার সুর ও সঙ্গীতে বশির আহমেদকে নিয়ে কনকচাঁপা, হোমায়রা ও রাজার গাওয়া ‘তোমার উপমা তুমি’ গানটি উপভোগ করেন দর্শক। গানটির পরপরই মঞ্চে উঠে আসেন কনকচাঁপা। তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়ার পর তিনি তার গুরু সম্পর্কে স্মৃতিচারণমূলক অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। এর পরপরই গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা রাজার সুর-সঙ্গীতে হোমায়রা ও রাজার গাওয়া ‘পাপা’ গানটি উপভোগ করেন দর্শক। প্রথমবারের মতো ‘বশির আহমেদ সম্মাননা ২০১৯’ যারা পেলেন তারা হলেনÑ ফেরদৌসী রহমান, শেখ সাদী খান, শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, মুস্তফা কামাল সৈয়দ, নাসির আহমেদ ও চন্দন দত্ত। ফেরদৌসী রহমানকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি এই সম্মাননা প্রাপ্তি পেয়ে বলেন, ‘জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি আমি। কিন্তু কোনো বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পীর নামে এবারই প্রথম এমন সম্মাননায় ভূষিত হলাম। ভীষণ ভালো লাগছে আমার। বশির ভাইয়ের দুই যোগ্য সন্তান হোমায়রা ও রাজার উদ্যোগে এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে তাদের বাবা বেঁচে থাকবেন। হোমায়রা ও রাজা বুঝিয়ে দিলো যে, চাইলেই সন্তানেরা বাবা-মায়ের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। আমরা আশা করতেই পারি আমাদের সন্তানেরাও যেন আমাদের চলে যাওয়ার পর আমাদেরকে এভাবে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয়।’ হোমায়রা বশির ও রাজা বশির বলেন, ‘যারা কষ্ট করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
অভি মঈনুদ্দীন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা