০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লাইফটাইম অ্যাচিভম্যান্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত গাজী মাজহারুল আনোয়ার

-

উপমহাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গীতিকবি, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনীকার, পরিবেশক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে লাইফটাইম অ্যাচিভম্যান্ট আওয়ার্ডে ভূষিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল রোটারি ক্লাব। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর রিজেন্সিতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। আন্তর্জাতিক এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়া প্রসঙ্গে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কার প্রাপ্তিতে একটি তৃপ্তির ব্যাপার আছে। মানুষ যখন জীবিত অবস্থায় চলতে থাকেÑ তখন তার নানান বিষয়ে, দিকগুলোকে বিবেচনা করে তার অবস্থানকে, অর্জনকে সম্মানিত করা হয়, তখন জীবনটাকে অনেক সার্থক মনে হয়। এর আগেও আমি বহুবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। কিন্তু রোটারির পক্ষ থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি বিস্মিত হয়েছি। কারণ এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি পুরস্কার । সত্যিই আমি প্রীত হয়েছি, সমৃদ্ধ হয়েছি। এই পুরস্কার আমার মনের মধ্যে এক অন্যরকম ভালো লাগার জন্ম দিয়েছে। আবার এটিও সত্য, প্রত্যেকবারই প্রতিটি পুরস্কার পাওয়ার পর আমার কাছে মনে হয়েছেÑ আমার নবজন্ম হয়েছে। তখন মনে হয় সত্যিই জীবন সার্থক। সত্যিই জীবন সুন্দর।’ কুমিল্লা জেলা স্কুল এবং ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনা করার সময়ই তিনি কবিতা লিখতেন। তবে তার দুঃখ একটাই, বাংলা ভাষার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত থাকতে পারেননি। তাই কলেজে থাকাকালীনই তিনি এই দুঃখবোধ থেকে ‘ছেলেটা ক্ষেপেছেরে ক্ষেপেছে’ নামে শহীদ মিনার নিয়ে একটি কবিতা লিখেন যা প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। রেডিওতে প্রচারিত তার প্রথম গান ছিল ‘বুঝেছি মনের বনে রঙ লেগেছে’। গানটির সুর করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা, নির্দেশক নাজমুল হুদা বাচ্চু। গানটি গেয়েছিলেন ফরিদা ইয়াসমনি। মুক্তিযুদ্ধ চালকালে তারই লেখা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’সহ আরো অনেক দেশাত্মবোধক গান সেই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। সিনেমায় তার লেখা প্রথম গান সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমায় ‘আকাশের হাতে আছে এক রাশ নীল’ গানটি। গানটি গেয়েছিলেনআঞ্জুমান আরা বেগম। এখন পর্যন্ত গীতিকার হিসেবে তিনিই সর্বাধিক ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯২ সালে আওকাত হোসেনের ‘উচিৎ শিক্ষা’র জন্য প্রথম পুরস্কার পান। এরপর একে একে তিনি দীলিপ বিশ^াসের ‘অজান্তে’, এফ আই মানিকের ‘লাল দরিয়া’, শাহ আলম কিরনের ‘চুড়িওয়ালা’, মৌসুমীর ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ এবং সর্বশেষ গাজী মাজহারুল আনোয়ার সর্বশেষ গত বছর ১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৮২ সালে প্রথম ‘নান্টু ঘটক’ সিনেমা পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শাস্তি, সমাধি, বিচারপতি, চোর, সন্ধি, স্বাক্ষর, স্বাধীন, শ্রদ্ধা, ¯েœহ, উল্কা, তপস্যা, আম্মা, পরাধীন, আর্তনাদ, রাগী, জীবনের গল্প, এই যে দুনিয়া, পাষাণের প্রেম, হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ সিনেমা পরিচালনা করেন। তার প্রযোজনা সংস্থা ‘দেশ চিত্রকথা’ থেকে ৪৬টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
ছবি : গোলাম সাব্বির


আরো সংবাদ



premium cement
রামুতে ৬০ লাখ টাকার ইয়াবাসহ ২ কারবারী আটক ৪০ ডিগ্রির নিচে নামল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন দিন ৩ ঘণ্টা করে শাহজালালে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা ‘২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করবে পোশাক শিল্প’ প্যারিসে গুলিতে একজন নিহত, বেশ ক’জন আহত ভৌগোলিক কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ : হাই কমিশনার গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বিদায় নিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ফেনীতে চাঁদা না পেয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেফতার ৪ বর্তমান সরকার অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত : কর্নেল অলি গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের

সকল