০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ছেলের রক্তের সাথে বেঈমানি না করতে আবরারের বাবার আহ্বান

- সংগৃহীত

ছাত্রলীগের নির্মম ও নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্ত করার কৌশল হিসেবে যদি সব দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাহলে আমার ছেলের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে।’

আবরার হত্যার ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে শনিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আবরারের বাবা শনিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, শুধু কাগজে-কলমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করলেই হবে না, সব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

ছেলে হত্যার ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এর আগেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ র‌্যাগিং বন্ধের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তেরই বাস্তবায়ন হয়নি। সে সময় সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা হলে আজ আমার ছেলেকে অকালে প্রাণ দিতে হতো না।

‘বুয়েট কর্তৃপক্ষ অতীতের মতো আর কোন কাগজে-কলমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক এটা আর আমি দেখতে চাই না। আমরা সব সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখতে চাই,’ বলেন তিনি।

আবরার হত্যা মামলা নিয়ে বরকতউল্লাহ বলেন, এ ধরনের অধিকাংশ মামলা দীর্ঘ সময় নিয়ে বিচারাধীন থাকে। দেখা যায় কয়েকদিন পরেই আসামিরা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে আসে। পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা রকম ভয় ভীতি দেখায়, চাপ প্রয়োগ করে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় মামলার ১০ আসামির ৬ আসামির সাজা, বাকিরা বেকসুর খালাস পেয়েছে।

 ‘আমার ছেলে আবরার হত্যা মামলায় এমন পরিণতি দেখতে চাই না,’ উল্লেখ করে বরকতউল্লাহ দাবি জানান, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ছাত্রলীগের নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সূত্র : ইউএনবি।


আরো সংবাদ



premium cement