৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঢাবির হলে ছাত্রদের বের করে কক্ষ দখল

ঢাবির হলে ছাত্রদের বের করে কক্ষ দখল - ছবি : সংগ্রহ

শিক্ষার্থী তিনজন থাকেন তাদের নামে বরাদ্দ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। কক্ষে তালা দিয়ে পাঠকক্ষে পড়তে গিয়েছিলেন তারা। গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে কক্ষে ফিরে দেখেন নিজেদের জিনিসপত্রগুলো বাইরে। তালা ভেঙে সে কক্ষে উঠানো হয়েছে কয়েকজনকে। পরে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই কক্ষে থাকতে না পারায় বাইরে শীতের মধ্যে রাত পার করতে হয় ভুক্তভোগীদের। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছাত্রলীগের নিজেদের সংগঠনের নেতাও রয়েছেন।
শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে এভাবেই বৈধ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখলের অভিযোগ হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত আরিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানীর অনুসারী।
আর ভুক্তভোগীরা হলেন- আমান সাদিক, আবদুল আলিম ও নূর মোহাম্মদ ফরহাদ। সবাই মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং থাকতেন হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে। এদের মধ্যে আমান মুহসীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি। আর আলিম ও ফরহাদ ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হল প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে সূত্র জানায়।

হল সূত্র জানায়, ২০৪ নম্বর কক্ষে মাস্টার্সের ছাত্র আমান, আলিম ও ফরহাদ থাকতেন। কক্ষে তালা লাগিয়ে তারা পাঠকক্ষে অধ্যয়ন করছিলেন। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে কক্ষে এসে দেখেন সকল জিনিসপত্র কক্ষের বাইরে। সেখানে তারা দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে অবস্থান করতে দেখেন। পরে কক্ষে ঢুকতে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে বের করে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আলিম বলেন, শীতের মধ্যে সারা রাত বাইরে কাটিয়েছি। জিনিসপত্র এলোমেলো করে ফেলায় অনেক জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে গেছে। আমি আমার কক্ষ ফেরত চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফ নয়া দিগন্তকে বলেন, তাদের বের করে দেয়া হয়নি। কক্ষ পরিবর্তন করে উপরের কক্ষে যেতে চেয়েছিলো তারা। তাই তাদের অন্য কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে এর একটা সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের তো কক্ষ দেয়া হচ্ছে।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়াকে ঘটনা অবহিত করলে তিনি পরে জানাবেন বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement