৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফের হেলমেট বাহিনী

এরা কার হয়ে কী করছে?

-

গতকাল একটি জাতীয় দৈনিকে আবারো ‘হেলমেট বাহিনী’র সরব উপস্থিতির কথা জানিয়ে একটি শীর্ষ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দেশে যখন সব রাজনৈতিক দল-জোট অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার একটি প্রত্যাশার ক্ষেত্র তৈরি হওয়ার পথে, তখন নির্বাচনী মাঠে ফের হেলমেট বাহিনীর সরব উপস্থিতি দেশের বিবেকবান মানুষকে শঙ্কিত করে তুলেছে। তাদের প্রশ্নÑ কারা এই হেলমেট বাহিনী? এরা কার হয়ে কী করছে?
পত্রিকাটির প্রতিবেদন মতে, ‘সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। তৃতীয় দিনেও উৎসবের আমেজে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনছিলেন। গত পরশু বেলা প্রায় ১টায় হঠাৎ পাল্টে যায় দৃশ্যপট। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনের সড়কে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে শুরু হয় তাদের বাগি¦তণ্ডা। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিুব্ধ নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের শুরু হয় ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। মুহূর্তে নয়াপল্টন পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এতে শতাধিক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ মতে, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলার সময় মাথায় হেলমেট পরা ১০ থেকে ১৫ জন যুবক পলওয়েলের সামনের রাস্তা পার হয়ে বিএনপি অফিসের সামনে সংঘর্ষে যোগ দেয়। মাথায় হেলমেট থাকায় চেনা যাচ্ছিল না। তাদের হাতে ছিল রড ও বাঁশের লাঠি। কারো কারো মুখে ছিল কালো কাপড় বাঁধা। হোটেল মিডওয়ের সামনে থাকা পুলিশের পিকআপ ভ্যানে হামলা চালায় ওই হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা। এরা পিকআপের গ্লাস ভাঙচুর করে। এমনকি পিকআপে উঠে লাফালাফিও করতে দেখা যায় কয়েকজনকে। এর সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল হেলমেট বাহিনী। তাদের মাথায় ছিল হেলমেট, হাতে লাঠি, রড, জিআই পাইপ, রামদা ও চাপাতি। তাদের হামলায় আহত হয়েছিলেন অনেক সাংবাদিক। এ ঘটনার ছবি ছাপা হয়েছিল জাতীয় দৈনিকগুলোতে; কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কাউকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি।
এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম জমা জিতে আসা বিপুল নেতাকর্মী উৎসবমুখর পরিবেশে যখন নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছিল, তখন কারা ওই পুলিশবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করল? এরা কারা? কী তাদের পরিচয়? কার হয়ে এরা কী করছে? নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করার স্বার্থে এই হেলমেট বাহিনীর লোকদের চিহ্নিত করা দরকার। দরকার শাস্তির আওতায় আনা।


আরো সংবাদ



premium cement