২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবি

সাংবাদিকদের আন্দোলনে ঠেলে দেবেন না

-

স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কিছু ধারা সংশোধনের দাবি করেছেন সাংবাদিকরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমের সম্পাদকরা সরকারের তিনজন মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছিলেন এবং তাদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিলÑ এই ধারাগুলো বাতিল বা সংশোধন করা হবে। তিন মন্ত্রীর পক্ষ থেকে তখন প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে এবং আইনটি সংশোধনের লক্ষ্যে আরো আলোচনা হবে। কিন্তু এরপর দু’টি মন্ত্রিসভার বৈঠক হলেও এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মন্ত্রীদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। বিতর্কিত আইনটিতে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এ আইনটি কার্যকর হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সাংবাদিকরা এই আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
সংবাদপত্রের সম্পাদকরা এ আইনটি সংশোধনের দাবিতে শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছেন। সম্পাদকদের উদ্বেগের বিষয়টি খুবই স্পষ্ট। ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধ করতে গিয়ে এমন একটি আইন পাস করা হয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি, বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করবে। পুলিশ অনুমতি ও পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহবশত যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে। তল্লাশি করতে পারবে। আইনটি এমন ভীতিকর যে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সম্পাদকরা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা আগামী ২১ অক্টোবর সংসদের যে শেষ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে, সেই অধিবেশনে সংশোধন করা হোক। কারণ, এ ধারাগুলো সুস্পষ্টভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সম্পাদকদের সাথে দেয়া কথার বরখেলাপ করেননি। তিনি আরো বলেছেন, আমার সময় শেষ হয়নি। অর্থাৎ তিনি চাইলে এখনো আইনটি সংশোধন করতে পারেন। সম্পাদকরাও মূলত সে দাবি করেছেন।
সম্পাদক ও সাংবাদিকরা দেশে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেননি। তারা শুধু আইনের যে ধারাগুলো সাংবাদিকতাকে হুমকির মুখে ফেলবে, সেগুলো সংশোধনের দাবি করেছেন। কোনো গণতান্ত্রিক সরকার বা রাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমন আইন করতে পারে না। অতীতে এমন আইন বা কালাকানুনের প্রতিবাদ সাংবাদিকরা করেছেন। এরশাদ সরকারের আমলে সাংবাদিকরা রাজপথে আন্দোলন করেছেন। আমরা আশা করব, সরকার সাংবাদিকদের রাজপথের আন্দোলনে ঠেলে দেবেন না। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী আইনটি সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই

সকল