২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পাস হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

আরো একটি কালো আইন সংযোজিত হলো

-

গত বুধবার জাতীয় সংসদে পাস হলো বহুল আলোচিত-সমালোচিত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। বিভিন্ন মহলের আপত্তি ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে সরকার অনেকটা একগুঁয়েমি মনোভাব প্রদর্শন করেই এ আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করিয়ে নিলো। দীর্ঘ দিন ধরে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল ও সংস্থা, বিশেষ করে সাংবাদিক মহল অন্তত এর আটটি ধারায় প্রবল আপত্তি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকারের কাছে এসব আপত্তি উপেক্ষিতই থেকে গেছে।
বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য সংসদে এ আইনের সমালোচনা করে বলেছেন, আইনটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বিরোধী দলের আপত্তির মুখেও শেষ পর্যন্ত আইনটি পাস হয়। বাংলাদেশের সম্পাদক পরিষদ ইতোমধ্যে এ আইনটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ আইনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ আইনটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন।
রাজনৈতিক মহলেও এ আইনটি সম্পর্কে বরাবর বিরোধিতা উচ্চারিত হয়েছে। সংসদে বিরোধী দলের সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, অংশীজনের আপত্তি ও বিতর্কিত বাধাগুলো অপরিবর্তিত রেখে সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা খুবই দুঃখজনক। বিলের ৮, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীর উদ্বেগ ও মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে, যা তাদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। অন্য দিকে, ৩২ ধারার ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির ক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ১৯২৩’ অনুসরণের সুপারিশ করার দৃষ্টান্ত খুবই দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। নিবর্তনমূলক এ আইন সংযোজনের উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ১১ জন ও একজন স্বতন্ত্র সদস্য বিলটির ব্যাপারে জনমত যাচাই এবং আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রস্তাব দেন।
সাংবাদিক মহলের সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও মনে করি, এ আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকসমাজ দীর্ঘ দিন ধরে যে আন্দোলন করছে, এটি হবে তার অন্তরায়। এ আইনের ১৪টি ধারাকে জামিন-অযোগ্য করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টকে এ আইনে টেনে এনে যুক্ত করা হয়েছে। এটি খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৩৭ ধারার বিষয়গুলোকে এ আইনের চারটি ধারায় ভাগ করে রাখা হয়েছে। এসব ধারা মতপ্রকাশ, স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি হতে পারে। ৫৭ ধারা বিলুপ্ত হলেও এই ধারার মামলা চলতে থাকবে, এটিও দুঃখজনক। গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে এই আইন নীতির সমস্যা করবে।
আমরা মনে করি, দেশের ইতিহাসে এটি আরেকটি কালো আইন হিসেবে সংযোজিত হলো। আমরা অবিলম্বে এ আইন প্রত্যাহার কিংবা সংশোধন করে যৌক্তিক করার দাবি জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই

সকল