২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নির্বাচনের প্রাক্কালে বাজেট বাস্তবায়ন

অনিয়ম নয়, জনগণ চায় সুষম উন্নয়ন

-

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে ‘নতুন কৌশল’ অবলম্বন করতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন মহল চায়, এ নির্বাচন উপলক্ষে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাওয়ার আগেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরো দৃশ্যমান করে তুলতে। এ জন্য সময় হাতে আছে মাত্র ছয় মাস। এ অবস্থায় বাজেটের অর্থ খরচের নীতিমালা ‘সহজ’, কোনো ধরনের অডিট ছাড়াই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তোলা, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থছাড় সহজীকরণসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে একটি সহযোগী দৈনিক জানিয়েছে, সরকার চাচ্ছেÑ নতুন অর্থবছরের বাজেটের একটি বড় অংশই আগামী ছয় মাসে, অর্থাৎ ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে।
নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থেই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এ ধরনের তোড়জোড় চলছে বলে সহজেই ধরে নেয়া যায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি নিয়মকানুনের কড়াকড়ির কারণে উন্নয়ন খাতের অর্থ ব্যয় করা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। সে জটিলতা এখন অনেকটাই সহজ করা হয়েছে, যেন অর্থ খরচ করার পথ নির্বিঘœ হয়। এ অবস্থায় কিছু ক্ষেত্রে প্রকল্পের অর্থ খরচের টাকা আগাম ওঠানোর ওপর বিধিনিষেধ থাকছে না। তদুপরি প্রকল্পের প্রথমপর্যায়ের ব্যয় সম্পর্কে অডিট ছাড়াই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তোলা যাবে, অথচ সাধারণত অডিট ছাড়া কিংবা অডিট অসমাপ্ত রেখে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অর্থ ছাড় করা হয় না। বাজেট বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে আপাতত এই বাধ্যবাধকতা থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে ঋণের অর্থ থেকেও উন্নয়নের টাকা জোগানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নতুন অর্থবছরের ছোট প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। চলমান যেসব প্রকল্পে নতুন বছরেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে, আগামী ছয় মাসে সেগুলোকে অতিরিক্ত হারে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উন্নয়ন প্রকল্পসংক্রান্ত পরিপত্র ‘সংশোধন’ করে সম্প্রতি বলা হয়েছিল, বরাদ্দের আলোকে এবার ১ জুলাই থেকেই প্রকল্পের অর্থ সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রাধিকার ও ব্যয়ের বিষয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে সংশ্লিষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য বলা হয়েছে সব জেলার ডিসিকে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কোনো অর্থ বাকি না রাখা এবং মাসের অর্থ মাসেই সুবিধাভোগীদের পৌঁছে দেয়ার নির্দেশও জারি হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, এত দিন পর এবং এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জটিলতা দূর করতে ‘গা-ঝাড়া’ দিয়ে ওঠা হচ্ছে? তদুপরি অডিট ছাড়া অর্থবরাদ্দের সুযোগে অনিয়ম ও দুর্নীতি যে অনেক বেড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি প্রশাসন দিতে পারবে? আমরা মনে করি, দলমত নির্বিশেষে সব নাগরিকের স্বার্থে এবং কোনো ধরনের দুর্নীতি ও দলীয়করণ ছাড়াই দেশের সর্বত্র সুষ্ঠু ও সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা উচিত।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল