২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মইনুলের গ্রেফতার কিভাবে দেখছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

মইনুলের গ্রেফতাকে কিভাবে দেখছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। - সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতারের বিষয়টি বেশ ভালোভাবে এসেছে। গণমাধ্যমগুলোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবাদপত্রের প্রকাশক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের একজন সমালোচক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যিনি সম্প্রতি গঠিত একটি সরকার বিরোধী জোটের অন্যতম নেতা। তাকে সরকার একটি মানহানির মামলায় গ্রেফতার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশের পত্রিকার প্রকাশককে মানহানির মামলায় গ্রেফতার। সংবাদপত্রটির ভেতরে বলা হয়েছে, একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবাদপত্র প্রকাশককে মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গ্রেফতার করেছে। তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে পরিচিত।

সুপরিচিত সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, বাংলাদেশে সংবাদপত্রের প্রকাশককে মানহানির মামলায় গ্রেফতার। পত্রিকাটি লিখেছে, এ গ্রেফতারের ফলে দেশটির জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী মতালম্বীদের উপর চাপ বাড়বে।

ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস শিরোনাম করেছে, বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় নেতা সম্পাদক মইনুল হোসেনকে মানহানির মামলায় গ্রেফতার। পত্রিকাটি তাদের সংবাদে উল্লেখ করে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদেষ্টাকে মানহানির মামলায় গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ভারতীয় গনমাধ্যম এনডিটিভির শিরোনাম ছিল, বাংলাদেশে সরকারের কঠোর সমালোচককে গ্রেফতার। সংবাদমাধ্যমটি উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ পুলিশ সোমবার সরকারের একজন কঠোর সামলোচককে গ্রেফতার করেছে। যিনি সম্প্রতি দেশটিতে একটি ক্ষমতাসীন সরকার দলের বিরোধী জোট গঠনে ভূমিকা রেখেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বাংলা সংস্করণের শিরোনাম ছিল, বাংলাদেশে মানহানির মামলায় মইনুল হোসেন গ্রেফতার। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, লাইভ টিভিতে একজন নারী সাংবাদিককে 'চরিত্রহীন' বলে গালি দিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলা আইনজীবী এবং সংবাদপত্র মালিক মইনুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন, রংপুর শহরে দায়ের করা এক মানহানির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রাতের বেলা মইনুল হোসেনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ভারতের নিউজ18 তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলার পর বিরোধীমতের সম্পাদককে মানহানির মামলায় গ্রেফতার। ভেতরে বলা হয়েছে, ডেইলি নিউ নেশনের মালিক ও সম্পাদক মঈনুল হোসেন, যিনি সরকারের সমালোচক হিসেবে সুপরিচিত যদিও তিনি কোনও দলের সদস্য নন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করণের শিরোনামে করা হয়েছে, নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন' বলে ব্যারিস্টার মইনুল এখন কারাগারে। সংবাদটির ভেতরে বলা হয়েছে, লাইভ অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন বলেছিলেন তিনি। তারপর পাঁচটি মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন রংপুরে করা ষষ্ঠ মামলায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল এখন কারাগারে।

এছাড়াও, ডেইলি মেইল, এবিসি নিউজ, আরব নিউজসহ বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

 

আরো দেখুন : মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
আদালত প্রতিবেদক 

রংপুরে দায়ের হওয়া একটি মানহানি মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।আদালতে মইনুলের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও ঢাকা বারের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু।

সোমবার দিবাগত রাতে রংপুরে দায়ের করা মানহানির এক মামলায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

গ্রেফতারের পর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হয়।

রংপুরে সোমবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া। তিনি রংপুর নগরীর মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা।

মামলাটি তার পক্ষে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আইনুল হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’


আরো সংবাদ



premium cement