‘মহাজাগতিক বিপর্যয়’ বইয়ের প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিপাত
সাকী মাহবুব
ড. আশরাফ পিন্টু চলমান সময়ের সাহিত্যাঙ্গনের পরিচিত এক নাম। দেশের বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকী ও লিটলম্যাগ পড়ে তাকে একজন তুখোড় ছড়াকার হিসেবেই জানতাম। তবে তিনি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখতে চাননি। ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প, অণুগল্প, উপন্যাস, গবেষণা, প্রবন্ধ, গ্রন্থ সম্পাদনা, সাময়িক পত্র সম্পাদনার মতো বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞে তাঁর সার্থক পদচারণা আমাদের বিস্মিত করে।
২০১৯ সালের বাংলা একাডেমির বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার ‘মহাজাগতিক বিপর্যয়’ নামে একটি বৈজ্ঞানিক কাল্পনিক উপন্যাস। মহাজাগতিক বিপর্যয় মূলত পাঁচটি মনকাড়া বৈজ্ঞানিক কল্পগল্প। শিরোনামগুলো হলোÑ
স্বননের মহাকাশ ভ্রমণ, জার্নি টু বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, মহাজাগতিক বিপর্যয়, হোয়াইট হোল, হোয়াইট হোল উদ্ধার।
পাঁচটি শিরোনাম মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ বৈজ্ঞানিক কল্প উপন্যাস। এগুলোর প্রতিটি আলাদা আলাদা গল্প আবার সব একই মালায় গ্রোথিত হয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ জনপ্রিয় উপন্যাস। গল্পগুলো অতি ঝরঝরে লেখা। ফুরফুরে মেজাজে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়। শিশুরা কল্পনাপ্রিয়। তারা স্বপ্ন দেখতে ও কল্পনা করতে ভালোবাসে। তারা অজানা দেশে হারিয়ে যেতে চায়। অচেনা জায়গায় ডুবে থাকতে চায়। রঙিন স্বপ্নে বিভোর থাকতে চায়। ড. আশরাফ পিন্টু শিশু-কিশোরদের মননশীলতা অ্যানালাইসিস করে অত্যন্ত দরদী হাতে কলম ধরেছেন।
পাঠক যখন এ গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়তে পড়তে সামনে এগিয়ে যাবেন, তখন তিনিও গল্পের নায়ক স্বননের সাথে অজানা-অচেনা এক ভিন্ন জগতে হারিয়ে যাবেন। যেখান থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে আসতে কিছুতেই মন চাইবে না। এ গল্পের সাহসী হিরো স্বননের মতোই হোয়াইট হোলের মধ্যে আটকা পড়ে যাবেন। চার ফর্মার এ বইটির প্রচ্ছদ বেশ সুুন্দর। এ জন্য প্রচ্ছদশিল্পী অনুপ কর ধন্যবাদ পেতেই পারেন। ভেতরের ছবিগুলোও বেশ চকচকে। কিশোর মনে দোলা দেবে। দামি কাগজ। ঝকঝকে ছাপা। তবে বইয়ের মধ্যে কিছু বানানবিভ্রাট রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে এ দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রকাশনী ‘নন্দিতা প্রকাশ’। তবে এ বইটি শুধু শিশু-কিশোরদেরই নয়, বড়দেরও কাছে টানবে। বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আশা রাখি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা