মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে (২৮) শনিবার রাতে জেলা শহরের বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে এদিন সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়। সদর উপজেলার চর কেওয়ার ইউনিয়নের টরকি গ্রামের রেহানা বেগম তার পরিবারের উপর হামলা-মারধরের উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
অভিযোগে মামলার বাদি রেহানা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফয়সাল মৃধাসহ ছাত্রলীগের ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গত বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও আরো কিছু অভিযোগ করে ফয়সাল মৃধাকে প্রধান করে আরো ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল মৃধাকে এর আগেও পুলিশ কয়েকবার গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু জেলার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতারা তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধার মামলা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এ ঘটনায় যেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পায় আমি প্রশাসনের কাছে সে আশাই করছি।’
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম জানিয়েছেন, ‘সদর থানায় ফয়সাল মৃধার বিরুদ্ধে মামলার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার তদবির, লবিং, গ্রুপিং চলবে না। সে যত বড় নেতা ও সন্ত্রাসীই হোক না কেন। অপরাধীরা তাদের শাস্তি পাবেই। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।’
সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন যাবত হামলাসহ বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও বাড়িতে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করতো বলে বাধ্য হয়ে সদর উপজেলার রেহানা বেগম তার পরিবারের জানমাল রক্ষার্থে এই মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা