৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পাওনা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে খুন করে মাটিচাপা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। ইনসেটে নিহত কামরুজ্জামান চৌধুরী -

নিখোঁজের ১০ দিন পর ফতুল্লার এক ব্যবসায়ীর লাশ মাটিচাপা অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সেলিম চৌধুরীকে (৫২) হত্যার পার লাশ গুম করার জন্য ফতুল্লার ভোলাইল এলাকার গার্মেন্টের একটি ঝুটের গোডাউনের ভেতর দুই থেকে আড়াই হাত মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ফয়সাল নামে এক কর্মচারীকে গ্রেফতারের পর ওই ব্যবসায়ীর লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। 

গ্রেফতার হওয়া ফয়সাল পুলিশকে জানিয়েছে- ওই ঝুটের গোডাউনে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বাগি¦তণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে মৃত্যু হয় তার। লাশ লুকিয়ে রাখা হয় দুই থেকে আড়াই হাত মাটির নিচে। ধরা যাতে না পড়ে মাটির ওপর করা হয় আস্তরণ। 

ফতুল্লা থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন আল আবেদ নয়া দিগন্তকে জানান, গত ৩১ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন কামরুজ্জামান চৌধুরী। ওই ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রীর দায়ের করা জিডির তদন্ত চলছিল। গতকাল বুধবার ভোলাইল মিষ্টির দোকান এলাকায় একটি গোডাউনে লাশের অভিযান চালানো হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফয়সাল নামে একজনকে আটক করা হলে, তার দেয়া তথ্য মতে, লাশটি উদ্ধার করা। তিনি আরো জানান, ৩১ মার্চ রাতেই সেলিমকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। 

ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শন (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আটক ফয়সালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গোডাউনটি সেলিম চৌধুরীসহ তার পার্টনারদের তত্ত্বাবধানে ছিল। ৩১ মার্চ পার্টনারদের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে ভোলাইলের গোডাউনে আসেন সেলিম চৌধুরী। পরে টাকা নিয়ে বাগি¦তণ্ডা হয়। এ সময় পার্টনারদের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিমকে মারধর করার একপর্যায়ে সেলিম মারা যান। পরে গোডাউনে গর্ত করে লাশ গুম করা হয়। 

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ থেকে নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা ফতুল্লা মডেল থানায় ৬ এপ্রিল একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং ১৩৯। 

জিডিতে তিনি বলেন, ফতুল্লার বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার গার্মেন্ট ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী। তিনি ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে শহরে ব্যবসায় করে আসছিলেন। নারায়ণগঞ্জের অনেক ব্যবসায়ীর সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। গত ৩১ মার্চ সকালে ব্যবসার কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তিনি। ওই দিন বেলা ১১টায় সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেখা মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম চৌধুরী জানিয়েছিলেন তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর বেলা ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে সেলিম চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেলিম চৌধুরীকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement