২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগুনে লেগে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

-

সাভারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বক্তারপুর দক্ষিণ কাঞ্চনপুর এলাকার ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলামের দোতলা বাড়িতে তারই সৎ ভাইয়েরা অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছে। তারা হলেন, ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০) বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১২) ছোট মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৮)। রাতে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধদের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে আযানের পূর্ব মুহুর্তে মাজহারুল ইসলামের সৎ ভাইয়েরা কাপড়ের টুকরোতে আগুন ধরিয়ে দোতলা বাড়ির জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ভিতরে ছুড়ে মারলে আগুন পুরো ঘর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়। দগ্ধ ৪ জনকে প্রথমে সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাদের অবনতি হলে রাতে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ মাজহারুল ইসলামের ছোট ভাই আজহারুল ইসলাম তার মুঠো ফোনে জানান, আমাদের সৎ ভাই শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মফিদুল ইসলামের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের বাবা অনেক সম্পত্তি রেখে গেছেন। তারা আমাদের কোন সম্পত্তি দেন নাই। আমাদের মাকে বাবা যে জমি দিয়ে গেছেন আমরা সেই জমিতে ঘর করে বসবাস করছি।

তিনি আরো জানান, এর আগেও তারা আমার এক বোনকে শত্রুতা বসত মেরে ফেলেছে।

এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ওটি ইনচার্য মো. নাছির উদ্দিন জানান, চার জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে মাজহারুল ইসলামের শরীরের ৩৫ ভাগ, সুমি আক্তারের ৩৫ ভাগ, ছোট মেয়ে সুরাইয়ার ২০ ভাগ ও সুমাইয়ার ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া সাভার মডেল থানার (এসআই) এখলাস হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে একটি গ্যাস সিলেন্ডার দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা গ্যাস সিলেন্ডারের পাইপের গোড়ার নাট ঢিলা থাকায় গ্যাস বের হলে সকালে কোনভাবে আগুনের স্পর্স থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ ব্যপারে ভিকটিমদের সাথে তিনি কথা বলতে পারেননি । কোন অভিযোগও পাওয়া যায় নি।


আরো সংবাদ



premium cement