ধর্ষণের পর গৃহবধূকে পতিতা সাজালো ৪ ধর্ষক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। রোববার সকালে উপজেলার কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়।

সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা মামলার এজহারে ওই গৃহবধু উল্লেখ করেন, উপজেলার কাঁচপুর সোনাপুর এলাকায় একটি ফ্লাটবাসা ভাড়া নিয়ে স্বামীসহ বসবাস করেন। গত শুক্রবার তার স্বামী গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যান। ওইদিনই তার দেবর ও জ্যা তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রোববার সকাল ৮টার দিকে কাঁচপুর এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, হেলাল, রবিন ও দেলেয়ার জোড়পূর্বক তাদের ঘরের প্রবেশ করে। এসময় তার দেবরকে মারধর করে জ্যাসহ তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূর গায়ের ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণকারীরা তার দেবরের কাছে থাকা নগদ টাকা ও ঘরে থাকা প্রায় ১০ হাজার নগদ টাকা নিয়ে যায়। এসময় ওই গৃহবধু ও তার জ্যা’কে পতিতা এবং দেবরকে মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে ধর্ষকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসল রহস্য বেরিয়ে আসলে হেলাল নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক( এসআই) তানভির আহম্মেদ জানান, গত রোববার সকালে ৪ ধর্ষণকারী গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ধর্ষণকারীরা ওই গৃহবধূ ও তার জ্যা’কে পতিতা এবং দেবরকে মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কৌশলে ৩ ধর্ষক পালিয়ে যায়। কথাবর্তার এক পর্যায়ে আসল রহস্য বেরিয়ে আসলে হেলাল নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। পরে আটক ধর্ষক হেলালকে জিজ্ঞাসায় হেলাল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।

সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত সেলিম মিয়া জানান, গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত হেলাল নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরো দেখুন : সিদ্ধিরগঞ্জে ভাগ্নিকে ধর্ষন : খালু গ্রেফতার
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা; ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:২০

সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় কিশোরী ভাগ্নিকে ধর্ষনের দায়ে খালুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মো: জামিল (২৮) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দক্ষিণ সতানন্দপুর গ্রামের মৃত সামছুজ্জামানের ছেলে। এ বিষয়ে রোববার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ধর্ষিতা ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা সাত আট বছর পূর্বে দাউদকান্দি থানার নিজ গ্রামে মারা যায়। পরে তার খালা সোনিয়া আক্তার ওই সময় কিশোরীটিকে লালন পালনের জন্য তার কাছে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে। তখন থেকে কিশোরীটি তার খালা সোনিয়া ও খালু জামিলের সংসারে বড় হতে থাকে। 

এদিকে কিশোরীটি বড় হতে থাকলে তার দিকে কুনজর পরে খালু জামিলের। বিভিন্ন সময় সে কিশোরীটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতো। বিষয়টি ওই কিশোরীর বাবা জানতে পেরে গত ঈদুল আযহার কিছুদিন পূর্বে মেয়েকে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। 

পরে গত বুধবার হঠাৎ কিশোরীটিকে বাসায় খুজে পাচ্ছিলোনা তার বাবা। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে কিশোরীটিকে তার খালু জামিল ফুঁসলিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় নিয়ে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় কিশোরীর খালা বাড়িতে ছিলোনা। ওই সুযোগে জামিল কিশোরীটিকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ওই রাতেই আবার কিশোরীটিকে গাড়িতে তুলে দেয় জামিল এবং ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। 

এদিকে বাড়ি ফেরার পর শনিবার কিশোরীটি ধর্ষণের ঘটনাটি তার বড় বোনকে জানায়। পরে ওইদিনই কিশোরীটির বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ জামিলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক জানান, স্ত্রীর বড় বোনের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আমরা ধর্ষক খালুকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিুশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।