২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আঠারো.

‘মুখোশটার ব্যাপারে এখন যতটা সম্ভব খোঁজখবর নেয়া দরকার আমাদের,’ রেজা বলল। ‘পোস্ট অফিসের পাশে একটা মিউজিয়াম আছে, দেখেছি। ওখানে খোঁজ পাওয়া যাবে না?’
‘যেতে পারে,’ ডোনাল্ড বলল। ‘জাহাজডুবির প্রচুর নথিপত্র আর পুরনো অ্যান্টিক আছে ওখানে।’
‘যাবে আমাদের সাথে?’ অনুরোধ করল সুজা।
‘পারলে সত্যিই যেতাম। কিন্তু আজকে আমার নানার সাথে দেখা করার কথা। যেতেই হবে, উপায় নেই।’
‘ঠিক আছে, যাও। পরে দেখা হবে।’
‘দেখা করেই চলে আসব, দেরি করব না। তোমাদের সাথে যতটা সম্ভব বেশি সময় পারি, থাকব। কাল চলে গেলে আবার কবে আসবে, ঠিক নেই।’
‘ডোনাল্ড,’ নেড বলল, ‘তোমার নানার সাথে আমি দেখা করতে চেয়েছিলাম, মনে আছে? তুমি বলেছিলে, নিয়ে যাবে।’
‘সত্যি যাবে? তাহলে তো খুবই ভালো। নানাও তোমাকে দেখলে খুশি হবে।’ রেজার দিকে তাকাল ডোনাল্ড। ‘শোনো, বেরোনোর আগে মুখোশটা কোথাও লুকিয়ে রেখে যেয়ো, চোর এলে যাতে খুঁজে না পায়।’
লুকানোর জায়গা খুঁজতে শুরু করল সবাই। খুদে রান্নাঘরের সিংকের নিচের মেঝেতে দুটো তক্তা আলগা পাওয়া গেল। চাড় দিয়ে তক্তা দুটো ফাঁক করল রেজা-সুজা, মুখোশটা রেখে দিলো তার নিচে। আবার আগের মতো লাগিয়ে রাখল তক্তা দুটো।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement