তেইশ.
রেজার দিকে ঘুরে গেলেন গেদু চাচা। দীর্ঘ একটা মুহূর্ত ওর দিকে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে মাথা নাড়লেন, ‘না, শুধু আমরাই। আর কে থাকবে?’
কিন্তু তার বলার ভঙ্গিতে রেজার মনে হলো, চাচা যেন কিছু লুকোচ্ছেন।
ছায়াটার কথা চেপে গেল রেজা। বলে চাচা-চাচীর কাছে নিজেকে ভীতু প্রমাণ করতে চায় না সে। আলোর কারসাজিও হতে পারে ওটা, নিজেকে বোঝাল।
বাড়ির বাইরেটা যেমন, ভেতরটা তার চেয়ে বেশি গা ছমছমে। জিনিসপত্রগুলোর জন্যই এমন লাগছে। দরজার পিতলের তৈরি ঘণ্টাটা ভয়ঙ্কর খুলিসর্বস্ব একটা কল্পিত প্রাণীর মুখের মতো। অভিনয় জীবনটাকে বাস্তব জীবনের সঙ্গেও মিশিয়ে ফেলেছিলেন হিরণ কুমার, বোঝা যায়।
‘দারুণ দারুণ!’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলতে থাকল সুজা। ‘এক্কেবারে পুরনো জাদুঘর! উফ, যা জায়গা না!’
‘এসব ডেকোরেশন হিরণ কুমার নিজের হাতে করেছেন,’ গেদু চাচা জানালেন। ‘তাঁর রুচিটা কেমন ছিল, এসব জিনিস দেখলেই বোঝা যায়।’
দরজার পাশে দাঁড়ানো বর্ম পরা প্রহরীর মূর্তি। জাদুকর, ভালুক, আর বিকৃত মুখভঙ্গি করে রাখা উদ্ভট সব প্রাণীর পেইন্টিং ঝুলছে খাটো হলওয়ের দেয়াল জুড়ে। হলওয়ের মাথায় কয়েক ধাপ সিঁড়ি পেরিয়ে মস্ত একটা হলঘর। বহু পুরানো একটা পাথরের ফায়ারপ্লেস আছে সে ঘরে। তার ওপরে ঝুলছে ফ্রেমে বাঁধানো একজন পুরুষ আর একজন মহিলার ছবি।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা